বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) প্রত্যেকটি বিভাগকে স্বাস্থ্য ও রোগ এবং চিকিৎসাসেবা সংক্রান্ত জনগুরুত্বপূর্ণ কমপক্ষে ১০টি গবেষণা প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। একইসঙ্গে প্রত্যেক বিভাগকে বিভাগীয় গবেষণা দিবস পালনের পাশাপাশি উন্নতমানের গবেষণায় সহায়তা প্রদানের জন্য বিভাগীয় চেয়ারম্যানদের নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিল্টন হলে বিভাগীয় চেয়ারম্যান ও ডিনদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত গুরুত্বপূর্ণ এক সভায় উপাচার্য এসব নির্দেশনা প্রদান করেন।
এসময় শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রত্যেক বিভাগের নিজস্ব অ্যালামনাই অ্যাসোশিয়েশন থাকতে হবে। রোগীদের চিকিৎসাসেবা সম্পর্কিত তথ্য সুনির্দিষ্টভাবে এন্ট্রি রাখতে হবে। বৈকালিক স্পেশালাইজড আউটডোরে যে শিক্ষকের ডিউটি থাকবে তিনি অথবা বিশেষ কারণে তার পরিবর্তে অন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক শিক্ষক রোগীদের সেবা দেবেন। রোগীদের স্বার্থে এই বিষয়টি অবশ্যই মেনে চলতে হবে।
তিনি বলেন, স্বাভাবিক কার্যক্রম ও উন্নয়ন, অগ্রগতিতে অব্যাহত রাখার স্বার্থে প্রত্যেক বিভাগকে প্রয়োজনীয় কেনাকাটার ক্ষেত্রে বিভাগীয় চেয়ারম্যানদেরকে একটু সাহসিকতার পরিচয় দিতে হবে।
সভায় রিউমাটোলজি বিভাগের ইয়ারবুক-২০২২ এবং মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড ইমিউনোলজি বিভাগের অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল সাসসেপটিবিলিটি রিপোর্ট জানুয়ারি ২০২২ থেকে জুন ২০২৩ এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন— উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, প্রিভেনটিভ অ্যান্ড সোশাল মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মো. আতিকুল হক তুহিন, শিশু অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মানিক কুমার তালুকদার, নার্সিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বনিক, মেডিকেল টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. দেবতোষ পাল প্রমুখ।