খালি পেটে পানি পানের অভ্যাস অনেকেরই আছে। কিন্তু সেই পানি যদি হয় কুসুম গরম তাহলে বেশকিছু রোগের হাত থেকে মুক্তি মেলে। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দিনে এক থেকে দুই গ্লাস কুসুম গরম পানি পান করা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। কুসুম গরম পানি পানে হজম ক্ষমতা ও রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। এ ছাড়া গরম পানি পানে আরও কিছু শারীরিক উপকার পাওয়া যায়।
তবে সকালে গরম পানি পান করার ক্ষেত্রে অনেকেই কমবেশি সাধারণ কিছু ভুল করে থাকেন। আর এতেই ঘটে বিপত্তি। তাই সকালে কুসুম গরম পানি পান করার সময় ভুলগুলো এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। চলুন জেনে নিই সকালে গরম পানি পান করার ভুলগুলো সম্পর্কে-
খুব বেশি গরম পানি নয়
সকালে স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্য হালকা গরম পানি পান করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। কোনোভাবেই এটি বেশি গরম হওয়া উচিত নয়। কেননা অত্যধিক গরম পানি মুখ, গলা এবং পরিপাকতন্ত্রের সূক্ষ্ম টিস্যুকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। আর এ কারণেই আপনি হালকা গরম পানি পান করবেন। এতে গলায় আরাম পাবেন।
সকালে স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্য হালকা গরম পানি পান করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। সংগৃহীত ছবি
ফিল্টার করা পানি ব্যবহার করছেন তো?
আপনি যে পানি পান করছেন তার উৎস এবং গুণমান গুরুত্বপূর্ণ। মূলত কলের পানিতে থাকা ক্ষতিকারক জীবাণু থেকে বাঁচতে পরিষ্কার, ফিল্টার করা পানি ব্যবহার করা অপরিহার্য। অবশ্যই পানি পানের সময় এর বিশুদ্ধতার দিকেও খেয়াল রাখুন।
ক্ষতিকারক জীবাণু থেকে বাঁচতে পরিষ্কার, ফিল্টার করা পানি ব্যবহার করা অপরিহার্য। সংগৃহীত ছবি
আপনি কি দাঁত ব্রাশ করেছেন?
ঘুম থেকে ওঠার সাথে সাথে এক গ্লাস গরম পানি পান করা সাধারণ ব্যাপার। তবে এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে আপনার মুখ রাতের বেলা নিষ্ক্রিয় ছিল। এতে ব্যাকটেরিয়াকে বহুগুণে বেড়ে যায়। মৌখিক স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখতে, আপনার দাঁত ব্রাশ করুন বা কমপক্ষে আপনার মুখ ধুয়ে ফেলুন গরম পানি পান করার আগে।
একটু আগেই ঠান্ডা পানি পান করেননি তো?
কেউ কেউ সকালে ভুল করে ঠান্ডা পানি পান করেন, ভেবে থাকেন এটি সমান উপকারী। হালকা গরম পানি পান করার পরামর্শ দেয়ার কারণ হলো এটি পাচনতন্ত্র এবং বিপাককে সুষ্ঠুভাবে কাজ করতে সাহায্য করে, যেখানে ঠান্ডা পানি পুরো প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।
প্লাস্টিকের পাত্রে পান করছেন না তো?
গরম পানি প্লাস্টিকের পাত্র থেকে ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ বের করতে পারে। গরম পানি সংরক্ষণ এবং পান করার জন্য কাঁচের বা স্টেইনলেস স্টিলের পাত্র বেছে নিন, কারণ এ ধরনের পাত্র স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে না।