বাংলাদেশে দুই মিনিটে হৃদ্‌রোগে মারা যান একজন

0
211

বিশ্বে প্রতি বছর ১ কোটি ৭৯ লাখ মানুষ মারা যায় হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে। আর বাংলাদেশে এ সংখ্যা প্রায় ৩ লাখ। এ হিসাবে, দেশে প্রতি দুই মিনিটে হৃদ্‌রোগে মারা যান একজন।

হৃদ্‌রোগের এ ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিশ্ব হার্ট দিবস পালিত হচ্ছে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘ইউজ হার্ট, নোউ হার্ট’। যার ভাবার্থ করলে দাঁড়ায়, ‘ভালোবাসা দিয়ে প্রতিটি হৃদয়ের যত্ন নিন।’

দেশে সবয়েয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ মারা যান হৃদ্‌রোগের কারণে। এ রোগে মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যাটা অন্যান্য রোগের তুলনায় অনেক বেশি। হৃদ্‌রোগ নিয়ে সচেতনার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে বাংলাদেশে এ দিবসটি পালিত হচ্ছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, হৃদরোগের কারণে প্রতি বছরে ১ কোটি ৭৯ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। যার মধ্যে ১৯ লাখ মানুষ তামাক ব্যবহারজনিত কারণে হৃদ্‌রোগে মৃত্যুবরণ করে।

গ্লোবাল বারডেন অব ডিজিজ স্টাডির (জিবিডি) প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে প্রতি ২ মিনিটে একজন মানুষ হৃদ্‌রোগে মারা যান। আর প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ৩২ জন। দিনে প্রায় ৭৬৯ জন, মাসে এই সংখ্যা ২৩ হাজার ৮৩। সবমিলিয়ে প্রতিবছর ২ লাখ ৭৭ হাজার মানুষ হৃদ্‌রোগে মারা যায়। যার মধ্যে ১ লাখ ৬১ হাজার অর্থাৎ ২৪ শতাংশই তামাকজনিত কারণে।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, দেশে সংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাব ধীরে ধীরে কমলেও বাড়ছে অসংক্রামক ব্যাধি। বিশ্বব্যাপী ৭৮ শতাংশ মানুষের অসুস্থতার কারণ অসংক্রামক ও দীর্ঘমেয়াদি রোগ। এর মধ্যে রয়েছে ডায়াবেটিস, হৃদ্‌রোগ, ক্যানসার, ক্রনিক অবস্ট্রাক্টিভ পালমোনারি ডিজিজ (সিওপিডি) বা শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত সমস্যা ও শ্বাসতন্ত্রজনিত অন্যান্য রোগ। প্রতি বছর দেশে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া রোগীদের মধ্যে অসংক্রামক রোগাক্রান্ত ৬৭ শতাংশ। সংখ্যায় তা পৌনে ছয় লাখ। তাদের মধ্যে সর্বোচ্চসংখ্যক অর্থাৎ ৩০ শতাংশই হৃদ্‌রোগী।

পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ জরিপ বলছে, বাংলাদেশে প্রবীণ মানুষেরা যে সব রোগে ভুগে মারা যান, তার সর্বোচ্চ ২৪ শতাংশই মারা যান হৃদ্‌রোগ এবং এ সংক্রান্ত অন্যান্য রোগে।

হৃদ্‌রোগ আসলে কী?

আমাদের হৃদ্‌পিণ্ডে যে রক্ত প্রবাহিত হয়, তা হৃদ্‌যন্ত্রে আসে ধমনি দিয়ে। সেটি যখন সরু হয়ে গেলে নালীর ভেতরে রক্ত জমাট বেঁধে যেতে পারে। তখন নালীর ভেতর দিয়ে রক্ত প্রবাহ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এতে হৃদ্‌যন্ত্রের পেশীগুলো দুর্বল হয়ে যায়, তখন আর সে অক্সিজেন প্রবাহিত করতে পারে না।

হৃদ্‌পিণ্ডের ভেতর দিয়ে অক্সিজেন প্রবাহিত না হতে পারলেই হার্ট অ্যাটাক হয়। হৃদ্‌রোগের প্রাথমিক উপসর্গ খেয়াল না করলে তার ফলে কেবল মৃত্যু নয়, বেঁচে থাকলেও অনেক জটিলতা নিয়ে বাঁচতে হয়।

ফলে বুকে চাপ চাপ ব্যথা, শরীরের অন্য অংশে ব্যথা, মাথা ঘোরা বা ঝিমঝিম করা, ঘাম হওয়া, নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসা, বমি বমি ভাব হওয়া এবং বুক ধড়ফড় করা বা বিনা কারণে অস্থির লাগার মতো উপসর্গ দেখলে সতর্ক হোন।

কী বলছেন চিকিৎসকরা?

হৃদ্‌রোগের চিকিৎসার চেয়ে প্রতিরোধ উত্তম এবং এক্ষেত্রে শারীরিক পরিশ্রম বা ব্যায়াম খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন ঢাকার জাতীয় হৃদ্‌রোগ ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক নূরুল আলম।

তিনি বলেন, হার্ট সুস্থ রাখতে শারীরিক শ্রম, খাবার দাবার ও ঘুম খুব গুরুত্বপূর্ণ- এটি একজন মানুষকে মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতে হবে এবং সে অনুযায়ী কাজ করতে হবে। সপ্তাহে অন্তত পাঁচদিন ৩০ মিনিট করে হাঁটা দরকার, এতে হার্ট সুস্থ থাকে। তবে হাঁটতে হবে একটু দ্রুতগতিতে, যাতে হার্টের রেট বাড়তে সহায়তা করে। আবার হাঁটা ছাড়াও সাঁতার ও সাইক্লিংয়ের মতো ব্যায়াম হার্টকে সুস্থ রাখে।

কারও যদি হাঁটার সময় বা সুযোগ না থাকে তাহলে বাসায় বা কর্মক্ষেত্রে হেটে সিঁড়ি দিয়ে ওঠা, অফিস বা বাসাতেই হাঁটা কিংবা অফিসে আসার সময় বা বাসায় যাওয়ার সময় গাড়ি একটু দুরে রেখে হেঁটে যাওয়ার পরামর্শ দেন এ চিকিৎসক।

আরও পড়ুন: ফ্যাটি লিভার থেকে কি হার্ট অ্যাটাক হতে পারে?

যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) বলছে, মোটামুটি মাত্রার শারীরিক পরিশ্রমের জন্য একজন মানুষের হার্ট রেট থাকা উচিত তার সর্বোচ্চ হার্ট রেটের ৬৪ থেকে ৭৬ শতাংশের মধ্যে। আবার উচ্চমাত্রার শারীরিক পরিশ্রমের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ হার্ট রেট থাকা উচিত ৭৭ থেকে ৯৩ শতাংশ।

তবে শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় উচ্চমাত্রার পরিশ্রম সবার জন্য উপযুক্ত নাও হতে পারে। এ বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

এদিকে হৃদ্‌রোগের সঙ্গে ডায়াবেটিস ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাই হৃদ্‌রোগ থেকে বাঁচতে হলে প্রতিরোধ করতে হবে ডায়াবেটিস। প্রি-ডায়াবেটিসের সচেতনতা থেকে হৃদ্‌রোগ প্রতিহত করা সম্ভব—এমনটাই বলেন ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) অধ্যাপক এম এ রশিদ।

তিনি বলেন, হৃদ্‌রোগ প্রতিরোধের সর্বোত্তম উপায় হলো সুশৃঙ্খল জীবনযাপন এবং স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্যাভাস। যেটা ডায়াবেটিস রোগীর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। হৃদ্‌রোগের ঝুঁকিগুলোর মধ্যে ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপ অন্যতম। এ রোগগুলো নিজেও একটা রোগ আবার বিভিন্ন রোগকে প্রভাবিতও করে। ডায়াবেটিস রোগীদের চারগুণ বেশি হৃদরোগের ঝুঁকি রয়েছে। অতিরিক্ত ওজন, ধূমপান, স্থূলতাও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এগুলোকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।

এম এ রশিদ আরও বলেন, কার্ডিয়াক সার্জারি বা বিশেষায়িত সেবাকে গুরুত্ব দেয়ার পাশাপাশি শুরু থেকেই হৃদ্‌রোগ কমিয়ে আনা যায়। প্রাথমিকভাবে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা থাকলে চিকিৎসা পর্যন্ত যাওয়া লাগে না। আমাদের প্রধান সমস্যা, মাধ্যমিক ও বিশেষায়িত পর্যায়ে আমরা যেমন খরচ করছি, কিন্তু তা প্রতিরোধে শুরুতে চেষ্টা করছি না। জীবনাচার ও খাদ্যাভ্যাসে আমাদের সতর্ক হতে হবে, অন্যথায় হৃদ্‌রোগ বা দীর্ঘমেয়াদি রোগের কারণে চিকিৎসা ব্যয়বহুল হচ্ছে। অনেক কম খরচে, সুবিধাজনক উপায়ে প্রতিরোধে ভূমিকা রাখা যায়। আমাদের স্বাস্থ্যের বাজেট অপ্রতুল। এ বাজেটের ৩ থেকে ৫ শতাংশও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থায় খরচ করা হচ্ছে না। এটা বাড়ানো উচিত।

বায়ু দূষণও হৃদরোগের অন্যতম কারণ

উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিস এবং ধূমপান আমাদের হৃদরোগের ঝুঁকি অনেক বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু এগুলোর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বায়ু দূষণ।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, এতোদিন ধরে হৃদ্‌রোগ ‘লাইফ স্টাইল ডিজিজ’ নামে পরিচিত ছিল। অর্থাৎ স্বাস্থ্যসম্মত নয় এমন জীবনযাপন পদ্ধতি হৃদ্‌রোগে ভূমিকা রাখে বলা হয়েছিল। এখন বিজ্ঞানীরা বলছেন, শুধু জীবনযাপন পদ্ধতি নয়, বায়ুদূষণও হৃদ্‌রোগের প্রকোপ বাড়াচ্ছে।

ওয়ার্ল্ড হার্ট ফেডারেশনের তথ্য বলছে, হৃদ্‌রোগের মৃত্যুর ২৫ শতাংশের পেছনে আছে বায়ুদূষণ। বায়ুদূষণজনিত হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে বছরে সারা বিশ্বে ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে।

বায়ুদূষণ বাংলাদেশের জন্য বড় ধরনের জনস্বাস্থ্য সমস্যা। গত আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রের হেলথ ইফেক্টস ইনস্টিটিউট এবং ইনস্টিটিউট অব হেলথ ম্যাট্রিক্স অ্যান্ড ইভ্যানুয়েশনের যৌথ প্রতিবেদন ‘এয়ার কোয়ালিটি অ্যান্ড হেলথ ইন সিটিস’–এ বলা হয়েছিল, বিশ্বে সবচেয়ে দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার অবস্থান পঞ্চম।

উন্নয়নশীল দেশগুলোর অপরিকল্পিত নগরায়ন, শিল্প কলকারখানার ব্যাপক প্রসার, অতিরিক্ত কার্বন, সিসা প্রভৃতি যুক্ত হয়ে মাত্রাতিরিক্ত দূষণ করছে বাতাসকে। এ ছাড়া জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে যে হারে বন নিধন হচ্ছে তাতে দূষণের মাত্রা আরও বেড়ে যাচ্ছে।

আর উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বেশি বেশি বায়ু দূষণের কারণে অসচেতন জনসাধারণই রয়েছে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে। এদের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম একটি দেশ। আর এ দেশের মানুষ বায়ু দূষণের শিকার। ফলে তাদের হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি আরও বেড়ে যাচ্ছে।

বায়ু দূষণের ফলে রক্ত বহনকারী ধমনি ও শিরাতে রক্ত চলাচলে বাধা সৃষ্টি হয়। ফলে উচ্চরক্তচাপজনিত সমস্যা দেখা দেয়।

হৃদ্‌রোগ চিকিৎসার ক্ষেত্রে উন্নতি হলেও রোগটি প্রতিরোধের ক্ষেত্রে অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। নগরায়ণ, খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন অর্থাৎ প্রয়োজনের অতিরিক্ত চর্বিজাতীয় খাদ্যে অভ্যস্ত হওয়া, কায়িক পরিশ্রম কম করা, প্রয়োজনীয় বিশ্রাম না নেয়া, অত্যধিক মানসিক চাপে থাকাসহ মাত্রাতিরিক্ত বায়ু দূষণ এখন হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।

ফ্রান্সের প্যারিস কার্ডিওভাসকুলার রিসার্চ সেন্টারের এক গবেষণায় দেখা গেছে, বায়ু দূষণের কারণে বায়ুতে বিদ্যমান কার্বন মনোঅক্সাইড, নাইট্রোজেন অক্সাইড এবং ধুলি কণা হার্টের অনেক ক্ষতি করে।

এই ঝুঁকির মাত্রা আরও বেড়ে যায় অজ্ঞতার কারণে। কেননা আমার কতটুকু দূষিত বাতাস গ্রহণ করছি তা জানি না। কিন্তু এই দূষিত বাতাস ঠিকই চুপিসারে হৃদরোগের ঝুঁকি এক থেকে তিন শতাংশ বাড়িয়ে দিচ্ছে।

প্রতিকার কোন পথে?

হৃদ্‌রোগ থেকে বাঁচতে হলে এর প্রতিকার সম্পর্কে জানা জরুরি। হৃদ্‌রোগের প্রধান শত্রু হচ্ছে ধূমপান। তাই ধূমপান থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকতে হবে। ধূমপানের মতো মাদকও হৃদ্‌রোগের আরেকটি কারণ, তাই মাদককে না বলুন।

সম্প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সংশোধনীর মাধ্যমে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করার উদ্যোগ নিয়েছে। খসড়া সংশোধনীতে সব পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে ‘ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান’ রাখার বিধান বিলুপ্ত করা, বিক্রয়স্থলে তামাকজাত দ্রব্য বা প্যাকেট প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা, তামাক কোম্পানির সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা, সব ধরনের খুচরা বা খোলা তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি নিষিদ্ধ করাসহ বেশ কিছু প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

বিশ্ব হার্ট দিবস উপলক্ষে এক প্রতিক্রিয়ায় গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা’র (প্রগতির জন্য জ্ঞান) নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের বলেন, ‘তামাকজনিত হৃদ্‌রোগ ঝুঁকি হ্রাসে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আইন সংশোধনের পদক্ষেপ অত্যন্ত সময়োপযোগী। তামাক কোম্পানির অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয়ে খসড়াটি দ্রুত চূড়ান্ত করতে হবে।’

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ হলো, কিশোর বয়সে বিশেষ করে ৫-১৭ বছর বয়স পর্যন্ত প্রতিদিন প্রায় এক ঘণ্টা ভালোভাবে শারীরিক পরিশ্রম করা দরকার। ওই বয়সে পেশী ও হাড়কে শক্তিশালী করে এমন কোন ব্যায়াম বা শরীরচর্চা সপ্তাহে অন্তত তিন বার করা উচিত। এক্ষেত্রে খেলাধুলা ভালো ভূমিকা পালন করে।

আর আঠার বছরের বেশি বয়সীদের আরও উচ্চমাত্রার শারীরিক পরিশ্রম করা দরকার। তাদের মাঝারি ও উচ্চমাত্রার ব্যায়াম বা শরীর চর্চার মতো কাজে বেশি সময় দিতে হবে।

একই সঙ্গে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী, হাড় শক্তিশালী করে এমন ব্যায়াম সপ্তাহে কমপক্ষে দুবার করা দরকার। তবে বেশি বয়সীদের ক্ষেত্রে হাটাঁহাটিই সবচেয়ে নিরাপদ।