‘স্ক্রিনিং জীবন বাঁচায়’ এই প্রতিপাদ্য ধরে আজ সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে ‘স্তন ক্যানসার সচেতনতা দিবস’। প্রতি বছর ১০ অক্টোবর এই দিবস পালন করা হয়।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সচেতনতার অভাবে স্তন ক্যানসার শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই আক্রান্তের সংখ্যা যেমন বাড়ছে তেমনি মৃত্যুঝুঁকিও বাড়ছে। তবে, প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে ৯০ শতাংশ প্রতিরোধ করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, স্তন ক্যানসার নিজে নিজেই শনাক্ত করা যায়।
পরিসংখ্যান বলছে, দেশে প্রতি বছর প্রায় ১৩ হাজার নারী নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছে স্তন ক্যানসারে। পাশাপাশি মারা যাচ্ছে প্রায় ৮ হাজার নারী। দেশে সর্বাধিক সচেতনতা বাড়াতে আজ সারা দেশে পালিত হচ্ছে ‘স্তন ক্যানসার সচেতনতা দিবস-২০২৩’।
দেশে ২০১৩ সালে স্তন ক্যানসার প্রতিরোধ নিয়ে কাজ শুরু করে ‘বাংলাদেশ স্তন ক্যানসার সচেতনতা ফোরাম’। ওই বছর ১ অক্টোবর চিকিৎসক ও সমাজসেবীদের পক্ষ থেকে প্রতি বছর ১০ অক্টোবর বাংলাদেশে এই দিবস পালনের ঘোষণা দেয়া হয়।
গত দশ বছর দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ফোরাম ও এর সদস্য সংগঠনগুলোর উদ্যোগে এই দিবস পালন করা হচ্ছে। এ সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কর্মস্থল কিংবা এলাকাভিত্তিক সচেতনতা আলোচনা, শোভাযাত্রা ও বাংলায় লেখা তথ্যসমৃদ্ধ লিফলেট বিতরণ করা হয়। স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি ও সুরক্ষা, সূচনায় নির্ণয় ও স্ক্রিনিংয়ের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে এবার সারা দেশে এই দিবস পালিত হবে।
স্তন ক্যান্সারে আক্রান্তের কারণ সম্পর্কে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেশি বয়সে প্রথম সন্তান ধারণ করা অথবা নিঃসন্তান থাকা, সন্তানকে বুকের দুধ পান না করানো, বয়স ৩৫ বছরের ঊর্ধ্বে হলে, পরিবারের কারো স্তন ক্যান্সারের ইতিহাস থাকলে, দীর্ঘদিন ধরে জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য পিল বা বড়ি খেলে, ১২ বছর বয়সের আগে প্রথম ঋতুস্রাব হলে অথবা ৫০ বছর পরে গিয়ে ঋতুস্রাব বন্ধ হলে নারীরা স্তন ক্যান্সার আক্রান্তের ঝুঁকিতে থাকে।