থানকুনি পাতা একটি ঔষধি ভেষজ। ‘দীর্ঘায়ুর ভেষজ’ হিসেবে চিহ্নিত এটি ঐতিহ্যগত চীনা, ইন্দোনেশিয়ান আয়ুর্বেদিক ওষুধের একটি প্রধান উপাদান। অবশ্য অনেকে নিয়মিত থানকুনি পাতা খান স্মৃতিশক্তি বাড়াতে। চিকিৎসকদের মতে, থানকুনি পাতায় মস্তিষ্কের শক্তি বৃদ্ধি, ত্বকের সমস্যা নিরাময়, লিভার এবং কিডনি স্বাস্থ্যের উন্নতি করতবে প্রশ্ন হচ্ছে থানকুনি পাতা খেলে আদৌ কি স্মৃতিশক্তি বাড়ে?
হেলথলাইনের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, থানকুনি পাতায় আছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। আর এটি খেলে রক্তে অক্সিডেন্টের প্রবাহ বাড়ে। তা ছাড়া অক্সিজেন প্রবাহ বাড়লে মস্তিষ্ক কার্যকারিতা ফিরে পায়। থানকুনি পাতা আমাশয়, পেটের পীড়া ও চর্মরোগের ক্ষেত্রেও কার্যকরী।
চলুন জেনে নিই থানকুনি পাতা খেলে আদৌ স্মৃতিশক্তি বাড়ে কি না–
জ্ঞানীয় কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে সহায়ক
২০১৬ সালের এক গবেষণায় তিনটি গ্রুপ করা হয়। পরে একজন প্রতিদিন ১০০০ মিলিগ্রাম থানকুনি পাতার রস পান করত, একজন প্রতিদিন ৭৫০ মিলিগ্রাম ও তৃতীয়জন প্রতিদিন ৩ মিলিগ্রাম। এর পর দেখা গেছে থানকুনি পাতার রস নিয়মিত পানে তাদের সামগ্রিক জ্ঞানের উন্নতিতে প্রভাব ফেলেছে।
আলঝেইমার
থানকুনি পাতায় স্মৃতিশক্তি এবং স্নায়ুর কার্যকারিতা বাড়ানোর ক্ষমতা রয়েছে, যা আলঝেইমার রোগের চিকিৎসায় সম্ভাবনা দেখা দেয়।
উদ্বেগ ও মানসিক চাপ কমায়
২০১৬ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ঘুমের অভাবে উদ্বেগ, অক্সিডেটিভ ক্ষতি এবং নিউরোইনফ্লেমেশন হতে পারে। তাই ঘুমানোর আগে আপনি যদি থানকুনি পাতার রস নিয়মিত পান করেন তাহলে মানসিক উদ্বেগ কম অনুভব করবেন।
বিষণ্নতানাশক
মস্তিষ্কের কার্যকারিতার ওপর থানকুনি পাতার ইতিবাচক প্রভাব এটিকে কার্যকর বিষণ্নতানাশকও করে তুলতে পারে। নিয়মিত এই পাতার রস পান করলে স্ট্রেস, উদ্বেগ এবং বিষণ্নতা হ্রাস পায়।
রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে
২০০১ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, থানকুনি পাতার রস নিয়মিত খেলে গোড়ালি ফুলে যাওয়া, শরীরে রক্ত চলাচলের সমস্যা কমাতে পারে।
অনিদ্রা কমায়
থানকুনি পাতা অনিদ্রার চিকিৎসার জন্যও ব্যবহার করা যেতে পারে। অনেকে এই ভেষজটিকে অনিদ্রা এবং অন্যান্য ঘুমের ব্যাধিগুলোর চিকিৎকসার জন্য ওষুধের নিরাপদ বিকল্প হিসাবে বিবেচনা করেন।