শিশুদের ডেঙ্গু নিয়ে ভয় না পাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সংস্থাটি বলছে, ৫ বছরের নিচের বয়সী শিশুদের মধ্যে আক্রান্তের হার মাত্র ৮ শতাংশের মতো। তবে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মধ্যবয়সীরা (২০-৫০ বছর) বেশি আক্রান্ত হয়েছে।
রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. হাবিবুল আহসান তালুকদার।
ডা. হাবিবুল আহসান বলেন, এ বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৮৪ হাজার ৭১৭ জন। আমরা জানি যে, ২০১৯ সালে ডেঙ্গু আউটব্রেক হয়েছিল। তখন সেই বছরে মোট আক্রান্ত ছিল ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন, কিন্তু এই বছর শেষ হওয়ার আগেই যে সংখ্যক ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন, তা ২০১৯ সালের তুলনায় অনেক বেশি।
তিনি বলেন, চলতি বছর সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু প্রকোপ ছিল জুলাই, আগস্ট এবং চলতি সেপ্টেম্বর মাসে। জুলাই মাসে ছিল ৪৩ হাজার ৮৫৪ জন, মৃত্যু হয়েছিল ২০৪ জনের। আগস্ট মাসে রোগী ছিল ৭১ হাজার ৯৭৬ জন, মৃত্যু ছিল ৩৪২ জনের এবং সেপ্টেম্বর মাসের আজ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ৬০ হাজার ৯০৯ জনের, মৃত্যু হয়েছে ৩০০ জনের।
ডা. হাবিবুল আহসান বলেন, আমাদের ঢাকা সিটি এলাকায় সবচেয়ে বেশি রোগী। ঢাকা সিটির বাইরে সারাদেশে আমাদের আটটি বিভাগীয় পর্যায়ে সবচেয়ে বেশি রোগী ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং বরিশাল বিভাগে। ঢাকা বিভাগের ফরিদপুর, মানিকগঞ্জ, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী এসব জেলায় বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। চট্টগ্রাম বিভাগের চট্টগ্রাম এবং লক্ষ্মীপুর জেলা এবং বরিশাল বিভাগের বরিশাল, পটুয়াখালী জেলায় বেশি আক্রান্ত পাওয়া যাচ্ছে। পাশাপাশি রংপুর, সিলেট, ময়মনসিংহে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা তুলনামূলক বেশ কম।
স্যালাইন সংকট প্রসঙ্গে অধিদপ্তরের এই পরিচালক আরও বলেন, ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য সব জায়গাতেই পর্যাপ্ত পরিমাণ এনএস-১ কিট মজুদ রয়েছে। ডেঙ্গু পেশেন্ট ম্যানেজমেন্টে সবচেয়ে বেশি যেটি প্রয়োজন সেটি হল আইভি ফ্লুইড স্যালাইন। এই স্যালাইন নিয়ে সাময়িক একটা সমস্যা হয়েছিল আপনারা জানেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে জরুরিভাবে আমরা ভারত থেকে ৩ লাখ প্যাক স্যালাইন আমদানি করেছি। এরমধ্যে ৪৪ হাজার প্যাক স্যালাইন আমরা হাতে পেয়েছি।