হাঁস নাকি মুরগির ডিম বেশি উপকারী

0
240

অতি সুলভে পাওয়া একাধিক পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি খাবারের নাম হলো ডিম। পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে পুষ্টিবিদরা নিয়মিতই তা খাওয়ার পরামর্শ দেন। তবে নিয়মিত খাওয়ার জন্য কোন ডিম বেছ নেবেন আপনি, হাঁস নাকি মুরগির ডিম?
ডিমে রয়েছে ভিটামিন, খনিজ, প্রোটিন, ফ্যাট, ক্যারোটিনয়েডস, লিউটিন, জিয়াজ্যান্থিনের মতো নানা পুষ্টি উপাদান। তাই শিশু থেকে শুরু করে বয়স্ক, সব বয়সীরাই ডিম খেতে পারবেন।

কিন্তু বাজারে এখন ডিমের দাম চড়া। এ অবস্থায় কোন ডিম খেলে আপনি বেশি লাভবান হবেন জানেন? ডিম খাওয়ার সময় অবশ্যই মাথায় রাখুন, বাজার থেকে কেনা ডিমে আপনি লাভবান হচ্ছেন কি না? আপনার কেনা ডিম কৃত্রিমভাবে আকারে বড় করা হয়নি তো? কিংবা আপনার কেনা ডিমের কুসুম কি গাঢ় কমলা রঙের হবে?

এসব বলার কারণ হলো পুষ্টিবিদরা বলছেন, যে পুষ্টির আশায় ডিম খাচ্ছেন তার পুরোটাই বিফলে যাবে যদি ডিম কৃত্রিমভাবে আকারে বড় করা হয় এবং ডিমের কুসুম গাঢ় কমলা রঙের না হয়।

আরও একটি বিষয় হলো, খাওয়ার জন্য বাজার থেকে কোন ডিম কিনবেন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মুরগির ডিম না কিনে হাঁসের ডিম খাওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ, মুরগির ডিমের তুলনায় হাঁসের ডিম প্রাকৃতিকভাবেই আকারে বড় হয়। আকারে বড় হওয়ায় ডিমের কুসুমও বড় থাকে হাঁসের।

অনেকে ভাবেন, হাঁসের ডিমে কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা বেশি। এ ধারণা কিন্তু একেবারেই একটি ভুল ধারণা। বিশ্বখ্যাত পুষ্টিবিদ মিহো হ্যাটানাকা বলেছেন, ২টি হাঁসের ডিমের সমান ৩টি মুরগির ডিম।

তা ছাড়া হাঁসের ডিমে সাদা অংশ অর্থাৎ অ্যালবুমিনের পরিমাণ বেশি থাকে। ফ্যাট, ওমেগা থ্রি, প্রোটিনের পরিমাণও হাঁসের ডিমেই বেশি।

নিয়মিত হাঁসের ডিম খেলে রক্তে নতুন ব্লাড সেল তৈরি হয়। ডিএনএ সিন্থেসিস এবং সুস্থ স্নায়ুতন্ত্রের গঠনেও সাহায্য করে হাঁসের ডিম। হৃদ্‌যন্ত্র সুস্থ রাখার পাশাপাশি ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা কমাতে পারে হাঁসের ডিম।

সমীক্ষায় দেখা গেছে, চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে, ত্বকের উজ্জ্বলতা ও রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে, পেশি মজবুত করতে এমনকি দ্রুত প্রেশার বাড়াতে হাঁসের ডিম একটি আদর্শ খাবার হিসেবে কাজ করে।

তাই আপনার শরীরে কোন ডিম বেশি উপকারী হবে বলে মনে করছেন? একজন পুষ্টিবিদের পরামর্শ অনুযায়ী সেটি আজই জেনে নিন। আর ব্যক্তিভেদে ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করুন পুষ্টিকর হাঁসের ডিমকে।