কিছু সময় আছে যখন শরীর অন্যান্য সময়ের চাইতে বেশি পানি চায়। ডিহাইড্রেশন থেকে দূরে থাকতে এই সময়গুলোতে বাড়তি পানি পান করা জরুরি। যেমন শরীরচর্চা বা জ্বরের সময়। আবার এক গ্লাস পানি আপনাকে মুক্তি দিতে পারে ক্লান্তি ও মাথা ব্যথার মতো সমস্যা থেকেও। জেনে নিন কোন কোন সময়ে পানি পান করাটা গুরুত্বপূর্ণ।
১। সকালে ঘুম থেকে উঠে
সকালে উঠেই পানি পান করুন। দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকার পর নিজেকে হাইড্রেট করার সেরা সময় এটি। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস, ভিটামিন সি এবং পটাসিয়াম পেতে চাইলে পানিতে অর্ধেকটি লেবুর রস মিশিয়ে নিন। তবে অ্যাসিডিটির সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে খাবেন লেবু-পানি।
২। যখন অতিরিক্ত ঘাম হয়
গরম আবহাওয়ায় অতিরিক্ত ঘামি আমরা। এতে শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে যায়। আবার ব্যায়াম বা শরীরচর্চা করলেও ঘাম হয় অনেক। ঘাম হলে পানি পান করুন পর্যাপ্ত পরিমাণে।
৩। ব্যায়াম শুরুর আগে, চলাকালীন এবং পরে
ব্যায়াম শুরুর আগেই কিছুটা পানি পান করে নিন। ব্যায়াম চলাকালীন সময়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট পরপর ৬ থেকে ১২ আউন্স পানি পান করবেন। শেষ হলে ১৬ থেকে ২৪ আউন্স পানি পান করে নিন। এতে অতিরিক্ত ঘামের কারণে অসুস্থ হয়ে যাবেন না।
৪। অসুস্থ থাকাকালীন
হাইড্রেশন নিরাময়ের চাবিকাঠি। ডায়রিয়া, বমি এবং জ্বরের মতো রোগে পর্যাপ্ত পানি পানের বিকল্প নেই। এ সময় দ্রুত আরোগ্যের জন্য বেশি বেশি পানি ও পানিজাতীয় খাবার খাবেন।
৫। বিমানে থাকাকালীন
বিমানে থাকলে তৃষ্ণা বেশি লাগে। কারণ প্লেন যত উপরে যায়, বিমানের ভেতরের বাতাস তত শুষ্ক হয়ে যায়। অতি-নিম্ন আর্দ্রতার মাত্রা মোকাবিলা করতে ফ্লাইটের সময় প্রয়োজন অনুযায়ী পানি পান করুন।
৬। যখন বিমানে
ভরদুপুরে বেশ ক্লান্ত লাগে, কাজ করতে ইচ্ছে করে না। এমন সময় কফির পাত্র না খুঁজে এক গ্লাস পানি পান করুন। এনার্জি বাড়াতে এতে লেবু মিশিয়ে নিতে পারেন। ব্রিটিশ জার্নাল অব নিউট্রিশনের একটি রিপোর্ট বলছে, নিজেকে হাইড্রেটেড করলে ক্লান্তি কাটে দ্রুত।
৭। মাথা ব্যথা করলে
মাইগ্রেনের অন্যতম প্রধান কারণ হলো ডিহাইড্রেশন। হুটহাট মাথা ব্যথার সমস্যায় ভুগে থাকলে একটি পানির বোতল সবসময় হাতের কাছে রাখুন এবং পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
৮। খাবার খাওয়ার আগে
দুপুর অথবা রাতের খাবার খাওয়ার আগে পানি পান করুন। এতে খাবার ভালো হজম হবে এবং অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা থেকে দূরে থাকা সম্ভব হবে।
তথ্য: ওয়েবএমডি