পেশাগত জীবন ও নানা ব্যস্ততার কারণে আলাদা করে নিজের যত্ন নেওয়ার সময় ও সুযোগ পান না অনেকে পুরুষই। শরীরে কিছু অস্বস্তি হলেও সেগুলোকে তেমন গুরুত্ব দেন না। সমস্যা বাড়লে যখন চিকিৎসকের কাছে ছোটেন, তখন বেশ খানিকটা দেরি হয়ে যায়।
চিকিৎসকরা বলেন, ৪০ পেরোলে শরীরের প্রতি বাড়তি নজর দেওয়া প্রয়োজন। বার্ধ্যক্যে সুস্থ থাকার পূর্বপ্রস্তুতি এই বয়স থেকে শুরু করা জরুরি। বয়স বাড়লে নানারকম শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়। সে সব সমস্যা এড়াতে ৪০-এর পর থেকে নিজেকে একটি নিয়মে বাঁধা জরুরি।
শরীরে কোন লক্ষণগুলো বড় বিপদের ইঙ্গিত হতে পারে- এখানে রইল তার হদিস
১. বুকে ব্যথা: অনেক সময় বুকে ব্যথা হলে গ্যাসের ব্যথা ভেবে উপেক্ষা করেন অনেকে। তবে বুকে ব্যথার মতো উপসর্গ কখনই চেপে রাখা উচিত নয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কিন্তু বুকে ব্যথা হৃদরোগের উপসর্গ হয়, তাই এই লক্ষণ অবহেলা করার ঝুঁকি না নেওয়াই ভালো।
২. শ্বাস নিতে কষ্ট: শ্বাসকষ্টও কিন্তু হৃদরোগের লক্ষণ হতে পারে। এটি হাঁপানি, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (সিওপিডি)-এর মতো সমস্যারও লক্ষণ হতে পারে। বিশেষ করে ধূমপায়ীদের এ রকম কোনো সমস্যা হলেই সতর্ক হওয়া জরুরি।
৩. হঠাৎ ওজন কমবেশি হওয়া: কোনো কারণ ছাড়াই ওজন বেড়ে গেলে কিংবা কমে গেলে সতর্ক হন। আকস্মিক ওজন কমে যাওয়া ক্যান্সার, হাইপারথাইরয়েডিজম বা হজমজনিত রোগের লক্ষণ হতে পারে। অন্যদিকে, হঠাৎ ওজন বৃদ্ধি হরমোনের ভারসাম্যহীনতা বা বিপাকীয় সমস্যার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।
৪. ক্রনিক পেটের অসুখ: পুরুষদের পেটের সমস্যা নিয়েও কিন্তু সতর্ক হতে হবে। দীর্ঘদিন ডায়ারিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, মলের মধ্যে রক্তপাত গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা বা কোলন ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। এই সমস্যায় হেলঅ না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
৫. মূত্রের সঙ্গে রক্তপাত: বারে বারে প্রস্রাব পাওয়া বা প্রস্রাবের সঙ্গে রক্তপাত চোখে পড়লে তা কখনোই উপেক্ষা করা উচিত নয়। এই লক্ষণগুলো মূত্রনালির সংক্রমণ, কিডনিতে পাথর, এমনকি প্রস্টেট ক্যান্সারের ইঙ্গিত দিতে পারে।