চলতি বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা ২৩ বছরের রেকর্ড ছাড়িয়েছে। আর এর মধ্যে অর্ধেক রোগীই চলতি আগস্ট মাসের। আক্রান্তদের মধ্যে পুরুষের হার বেশি হলেও মৃত্যুহার বেশি নারীদের।
রাজধানীর মুগদা জেনারেল হাসপাতালে গত বছরের আগস্টে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১ হাজার ৩৬৯ জন ভর্তি হলেও এ বছর এ মাসের প্রথম ২০ দিনেই রোগীর সংখ্যা ৮ হাজার ছাড়িয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য বলছে, শুধু এই হাসপাতাল নয়, সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা ২৩ বছরের রেকর্ড ছাড়িয়েছে। ২০০০ সাল থেকে চলতি বছর পর্যন্ত রেকর্ড আক্রান্ত ও মৃত্যু ছিল ২০১৯ সালে, যা সংখ্যায় যথাক্রমে ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন ও ২৮১ জন। তবে চলতি বছরের প্রথম ৮ মাসেই সেই রেকর্ড ভেঙে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে যথাক্রমে ১ লাখ ২ হাজার ১৯১ জন ও ৪৮৫ জনে।
পুরুষদের মধ্যে আক্রান্তের হার বেশি, সংখ্যায় মোট আক্রান্তের ৬২ দশমিক ৪ শতাংশ। তবে গত এক সপ্তাহে ডেঙ্গুতে ৪৬ জন নারীর বিপরীতে পুরুষ মারা গেছেন ৩৩ জন।
হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর অনেকের কাছেই নেই মশারি। আবার অনেকেই নানা অজুহাতে মশারি ব্যবহারে উদাসীন।
ডেঙ্গুর প্রকোপ থেকে বাঁচতে জ্বরে আক্রান্তদের দ্রুত পরীক্ষার ও চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। এছাড়া দিনে ও রাতে মশারি ব্যবহারের পরামর্শ চিকিৎসকদের।
মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. নিয়াতুজ্জামান বলেন, প্লাটিলেট কমে গেলে আতঙ্কিত না হয়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। চিকিৎসকরাই পরামর্শ দেবেন কী করতে হবে।