দেশে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে ডেঙ্গু পরিস্থিতি। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। গতবারের তুলনায় এবার মৃত্যু ও আক্রান্ত বাড়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এরই মধ্যে সারা দেশে ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ১২৭ জন। অন্যদিকে আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ হাজার।
গত পাঁচ বছরের তুলনায় এবার ডেঙ্গুতে মৃত্যুহার বেশি। ২০২০ কিংবা ২০২২ সালে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের তুলনায় মৃত্যুহার ছিল ০ দশমিক ৫০ এবং ০ দশমিক ৪৫ ভাগ। অথচ এ বছর তা ০ দশমিক ৫৫ ভাগ।
ডেঙ্গু পরিস্থিতি সবচেয়ে মারাত্মক আকার ধারণ করেছে রাজধানী ঢাকায়। আক্রান্তের দিক থেকে রাজধানীর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে সবচেয়ে উচ্চঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হচ্ছে যাত্রাবাড়ী, মুগদা, কদমতলী, জুরাইন, মানিকনগর ও সবুজবাগ।
অন্যদিকে উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় উচ্চঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হচ্ছে উত্তরা, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, তেজগাঁও ও বাড্ডা।
বুধবার (১৯ জুলাই) ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভাশেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম।
আতিকুল ইসলাম বলেন, বারবার সতর্ক করা ও জরিমানা করার পরেও কোনো নির্মাণাধীন ভবনে এডিসের লার্ভা পাওয়া গেলে, এখন থেকে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়া হবে।
তিনি বলেন, সবাইকে যার যার বাসাবাড়ির আঙিনা পরিষ্কার করতে হবে। সামাজিক আন্দোলনের বিকল্প নেই।