রেড মিট কী?
রেড মিট (Red Meat) বা লাল মাংস আমিষভোজী মানুষদের খুবই জনপ্রিয় একটি খাদ্য। এটি তাদের দৈনন্দিন খাদ্যেরও একটি অংশ।
রেড মিটকে স্তন্যপায়ী প্রজাতির মাংস বলা হয়। যার মধ্যে রয়েছে গরুর মাংস, শুকরের মাংস, খাসি বা ছাগলের মাংস, পাঁঠার মাংস, ভেড়ার মাংস ইত্যাদি। গবেষকরা বলছেন, রেডমিটে প্রচুর পরিমাণে প্রেটিন, ভিটামিন বি-১২, আয়রন, জিঙ্কসহ ভিটামিন ডি এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়, যা শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মাংস এবং দুগ্ধজাত খাবার হল এই ভিটামিনের প্রধান উৎস। আবার রেড মিটে প্রচুর পরিমাণে চর্বি ও কোলেস্টেরলও পাওয়া যায়, যা রক্তচাপ, হৃদরোগ, স্থূলতা, ক্যানসার এবং নানা ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
রেড মিট কি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর
রেড মিডকে অনেকেই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো মনে করেন, আবার কেউবা মনে করেন ক্ষতিকর। এ কারণেই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা রেড মিট খাওয়ার উপকারিতা, এর ক্ষতিকর দিক এবং ঝুঁকিগুলো নিয়ে প্রায়ই গবেষণা করে থাকেন। অনেকের মতে, এই মাংস স্বাস্থ্যের জন্য ভালো না ক্ষতিকর- তা নির্ধারণ করা বেশ জটিল। তবে স্বাস্থ্যের ওপর রেড মিটের প্রভাব নিয়ে করা অতি সাম্প্রতিক একটি গবেষণা এ সম্পর্কে অনেক ধারণাকেই পাল্টে দেবে।
গবেষণায় ফলাফলে যা পাওয়া গেছে
সম্প্রতি রেড মিট সম্পর্কে বিভিন্ন শঙ্কা দূর করার চেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্রের ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভালুয়েশনের (আইএইচএমই) এক দল গবেষক নতুন ওই গবেষণাটি পরিচালনা করেছে। দেশটির ১৮০টি এলাকার লক্ষাধিক মানুষের ওপর পরিচালিত গবেষণার বিশ্লেষণ করে তারা বলেছেন যে, ভাল করে রান্না বা প্রক্রিয়াজাত রেড মিটের বেশি খাওয়ার সঙ্গে স্ট্রোকের জোরালো সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া যায়নি। এর মানে ,একজন ব্যক্তি যদি প্রতিদিন অপ্রক্রিয়াজাত রেড মিট খান, তার মানে এই নয় যে তিনি স্ট্রোকের ঝুঁকিতে থাকবেন।
এ গবেষণা দলটি শরীরে ধূমপান, রেড মিট এবং শাকসবজির বিভিন্ন প্রভাব নিয়ে অনুসন্ধান করেছে। এ সময়ে প্রাপ্ত ফলাফলগুলোকে তারা এক থেকে পাঁচ রেটিংয়ে ভাগ করেছে। গবেষকরা প্রচুর পরিমাণে অপ্রক্রিয়াজাত রেড মিট খাওয়ার ফলে স্ট্রোকের ঝুঁকির জন্য শুধুমাত্র সিঙ্গল স্টার দিয়েছে, যার মানে হল প্রক্রিয়াবিহীন রেড মিট স্ট্রোকের সঙ্গে সম্পর্কিত। একই সঙ্গে এ মাংস খেলে কোলন ক্যান্সার, স্তন ক্যান্সার, হৃদরোগ ও ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকিকে টু-স্টার রেটিং দেওয়া হয়েছে।