ঈদ ভ্রমণে স্বাস্থ্য সতর্কতা

0
93
লঞ্চ
ছবি: সংগৃহীত

ঈদে অনেকেই বাড়ি যাচ্ছেন। এবার ঈদ হচ্ছে ভ্যাপসা গরমের মধ্যে, বৃষ্টির মৌসুমে। এ জন্য ভ্রমণের সময় বাড়তি সতর্ক ও সাবধান থাকতে হবে।

ভ্রমণের সময় গরমের অস্বস্তিতে শিশু এবং নারীরা অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। এ জন্য ঈদ যাত্রায় ঢিলেঢালা ধরনের স্বস্তিদায়ক কাপড়চোপড় পরতে হবে। ডায়াবেটিস, হৃদরোগ বা হাঁপানি– এসব রোগাক্রান্ত ব্যক্তি ডাক্তারের প্রেসক্রিপশনের ফটোকপি বা সংক্ষিপ্ত মেডিকেল হিস্ট্রি ব্যাগে রেখে দেবেন। নিজস্ব ব্যবহৃত জিনিসপত্র কারও সঙ্গে শেয়ার করবেন না। এতে সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে যায়। অতিরিক্ত ঘামের কারণে শরীরে লবণশূন্যতা দেখা দিতে পারে; তাই ভ্রমণ শুরুর আগে খাবার স্যালাইন, ফলের রস সঙ্গে রাখা ভালো। যাত্রাপথে অপরিচিত কারও দেওয়া কিছু খাবেন না।

ওষুধ হোক নিত্যসঙ্গী

গ্রামের বাড়িতে গেলে ছোট শিশুদের দিকে বিশেষ খেয়াল রাখবেন। বাড়ির আশপাশে পুকুর-ডোবা থাকলে শিশুদের কিছুতেই একা ছাড়বেন না। বাড়ির বয়স্করা নিয়মিত যে ওষুধ সেবন করেন, তা পর্যাপ্ত পরিমাণে সঙ্গে নিন ঈদ যাত্রায়। ওটিসি ওষুধ যেমন– খাবার স্যালাইন, জ্বর-ব্যথার জন্য প্যারাসিটামল, সর্দি-অ্যালার্জি প্রতিরোধক ওষুধ, বাচ্চার জন্য নাকের ড্রপ, ফাস্টএইড যেমন গজ-ব্যান্ডেজ, অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম বা লোশন, পেটের পীড়া ও হজম সংক্রান্ত ওষুধ আগেভাগেই সংগ্রহ করে রাখা ভালো; যাতে কোনো সমস্যা হলে তাৎক্ষণিক সমাধান করা যায়।

যাঁদের ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, হার্ট ডিজিজ, বাত রোগের ওষুধ, অ্যাজমা বা অ্যালার্জির সমস্যা আছে তাঁরা ওষুধ সঙ্গে নিতে ভুলবেন না। ইনহেলার, ইনসুলিন ইত্যাদিও সঙ্গে রাখবেন। ডায়াবেটিস রোগীরা লজেন্স, সুগার কিউব নেবেন। অন্তঃসত্ত্বাদের প্রথম ছয় মাস ভ্রমণ করা মোটামুটি নিরাপদ। যাঁদের গর্ভপাতের ইতিহাস আছে, তাঁদের গর্ভাবস্থায় ভ্রমণ করা উচিত নয়।

যে কোনো ধরনের ভ্রমণে তাঁরা প্রচুর পানি খাবেন। উড়োজাহাজে ভ্রমণ করলে ঘন ঘন পা ম্যাসাজ করতে হবে, না হলে পায়ে রক্ত জমাট বেঁধে ডিপ ভেইন থ্রম্বোসিস বা ডিভিটি হতে পারে। তাঁরা পায়ে রক্তজমা প্রতিরোধকারী মোজা পরতে পারেন। যাঁদের ওজন বেশি, তাঁরাও এ কাজটি করতে পারেন। যাঁদের মোসন সিকনেস আছে তাঁরা বমি নিরোধক ওষুধ সঙ্গে নিতে ভুলবেন না।

স্বাস্থ্য সচেতনতার অভাবে অনেকে ঈদের দিন পশুর রক্ত ও বর্জ্য পদার্থ অপরিকল্পিতভাবে ফেলে রেখে রাস্তাঘাট, বাসাবাড়ির চারপাশ একেবারে দুর্গন্ধময় অস্বাস্থ্যকর করেন। কিন্তু একটু সচেতন হলে এবং উদ্যোগ নিলে পরিবেশ দূষণরোধ ও রোগ-জীবাণুর বিস্তার এড়ানো যায়।