বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং বহুল ব্যবহৃত কৃত্রিম চিনি অ্যাসপারটেমে রয়েছে ক্যানসারের জীবাণু। বিষয়টি শিগগিরই ঘোষণা করা হবে। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) গবেষণাকারী শাখা ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যানসারের (আইএআরসি) একটি প্রতিবেদন উদ্ধৃত করেছে রয়টার্স।
যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) ১৯৮১ সালে অ্যাসপারটেম ব্যবহারের অনুমোদন দেয়। এরপর থেকে পাঁচবার এর নিরাপত্তা পর্যালোচনা পর্ব চলে। বর্তমানে প্রায় ৯০টি দেশে এই কৃত্রিম চিনি ব্যবহার করা হয়। কোকাকোলা, ডায়েট সোডা, চুইংগাম এবং আরও কিছু কোমল পানীয়তে অ্যাসপারটেম ব্যবহার করা হয়। এক চামচ সাধারণ চিনির তুলনায় ২০ গুণ বেশি মিষ্টি কৃত্রিম এই চিনি।
বিশ্বজুড়ে এক বিপুল বাজার তৈরি করে রেখেছে এই ধরনের পণ্য। ৯৫ শতাংশ কার্বোনেটেড কোমল পানীয়তে অ্যাসপারটেম ব্যবহার করা হয়। বাজারে যে সব ‘ইনস্ট্যান্ট টি’ বা তৈরি করা চা পাওয়া যায় তার মধ্যে ৯০ শতাংশতেই এই যৌগ থাকে।
জানা গেছে, বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে এবং তাদের মাধ্যমে অ্যাসপারটেমের নমুনা পরীক্ষা করে এতে ক্যানসার জীবাণু থাকার বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছে ডব্লিউএইচও। এবার কোন কোন জিনিস থেকে মানুষ ক্যানসারে আক্রান্ত হতে পারে- সেই তালিকায় অ্যাসপারটেমকে রাখা হচ্ছে। আগামী ১৪ জুলাই এই কৃত্রিম চিনকে ক্যানসার সৃষ্টিকারী যৌগ বলে ঘোষণা করবে আইএআরসি।
তবে এ খবর মানতে নারাজ কোমল পানীয় প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলো। তাদের দাবি, এই খবরের প্রভাবে সাধারণের চিনি খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যাবে। এতে শরীরের আরও বেশি ক্ষতি হবে। অ্যাসপারটেম নিয়ে ডব্লিউএইচও’র গবেষণা ভিত্তিহীন বলেও দাবি সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর।