সকালে না খেলে ওজন বাড়ে!

0
249
ওজন
ছবি: সংগৃহীত

সকালের নাশতায় কী থাকছে, এর ওপর নির্ভর করে সারা দিন শরীর কেমন থাকবে। কিন্তু অফিস বেরোনোর তাড়াহুড়োয় অনেকেই সকালের খাবার খান না। কিংবা একেবারেই অল্প কিছু মুখে দিয়ে বেরিয়ে পড়েন।

পুষ্টিবিদদের মতে, এই অভ্যাস একেবারেই ভালো নয়। শরীরের সামগ্রিক সুস্থতা বজায় রাখতে সকালের খাবার বাদ দিলে চলবে না। সকালের খাবার এড়িয়ে যাওয়ায় দেখা দিতে পারে নানা শারীরিক সমস্যাও।
সকালের নাশতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ

সকালে কিছু না খেলে বাড়তে পারে ওজন। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রথম শর্ত হল সকালে ভারী কোনো খাবার খাওয়া। দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকার ফলে শরীর উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাবার দাবি করে। খিদে মেটাতে তখন ফ্যাট ও চিনিজাতীয় খাবার বেছে নিতে হয়। তাতেই ওজন বেড়ে যায়।

সকাল থেকে দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকার পরে খাবার খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। সকালে না খাওয়ার অভ্যাস টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়।

সকালের খাবার না খাওয়ার অভ্যাস পরবর্তীকালে বাড়াতে পারে ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি। স্মৃতিশক্তি লোপ, ভাবনা-চিন্তার অসুবিধা, সিদ্ধান্ত নেয়ার অক্ষমতার মতো একাধিক সমস্যাকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় ‘ডিমেনশিয়া’ বলে। ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কমাতে সঠিক সময়ে সকালের খাবার খেতে হবে।

কেউ কেউ ভাবেন, সকালের নাশতা এড়ালে ওজন কমানো যায়। এটা একেবারেই ভুল ধারণা। কারণ, সকালের দিকে শরীরের বিপাকক্রিয়ার হার বেশি থাকে। ফলে যা খাওয়া হয়, তা হজম হয়ে যায়। এ ছাড়া সারা দিনের কাজে সব ক্যালরি খরচ হয়ে যায়। দিন যত গড়ায়, শরীরের পরিপাক হারও বাড়তে থাকে। সূর্য ডুবে যাওয়ার পর পরিপাকের হার কমতে থাকে।

ভাতও থাকতে পারে সকালের নাশতার টেবিলে

সকালে না খেলে দুপুরে, বিকেলে, সন্ধ্যায়, রাতে, গভীর রাতে খাওয়ার পরিমাণ বাড়ে। কিন্তু পরিপাকের হার আবার সূর্য ডোবার পর থেকে কমে যায়। ফলে ‘বেলা করে’ যেসব খাবার খাওয়া হয়, তা শরীরে জমার প্রবণতা বেশি। ফলে মোটা হওয়ারও প্রবণতা বেশি।

অন্যদিকে সকালে একটা ভারী নাশতা করলেও সেটা গায়ে লাগে না; বরং ক্যালরিটা খরচ হয়ে যায়। আর সারা দিনে খাওয়ার চাহিদাও কমে যায়। ফলে সন্ধ্যায় বা রাতে খাওয়ার পরিমাণ কমে যায়। এভাবে সকালে সুষম নাশতা খেলে তা ওজন কমতে সাহায্য করে।

আবার এটি শরীরের শক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে। এ ছাড়া নিয়মিত সকালের নাশতা করলে ডায়াবেটিস, হৃদ্‌রোগ, উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদিও নিয়ন্ত্রণে থাকে। তবে অবশ্যই সেটি হতে হবে পুষ্টিকর।