নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) নষ্ট থাকায় চার দিন ধরে সব ধরনের কার্ডিয়াক সার্জারি বন্ধ রয়েছে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে (এনআইসিভিডি)। ঈদের আগে গত ১৮ এপ্রিল সবশেষ এ হাসপাতালে সার্জারি হয়েছিল।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ এপ্রিল শেষ কার্ডিয়াক সার্জারি হয়েছে। ঈদের ছুটির জন্য ১৯-২৩ এপ্রিল পর্যন্ত হাসপাতাল বন্ধ ছিল। ওই সময়ে আইসিইউকে জীবাণুমুক্ত করার জন্য ফরমালিন দিয়ে আইসিইউ রুম বন্ধ করে দেওয়া হয়। ঈদের ছুটি শেষে হলেও ২৪ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত কোনো সার্জারি হয়নি। গতকাল শুক্রবার ছিল সাপ্তাহিক ছুটি।
হাসপাতালটিতে ৮০০ শয্যার বিপরীতে প্রায় ১ হাজার ২০০ রোগী ভর্তি আছে। দুই আইসিইউতে মোট ৪৮টি শয্যা রয়েছে। প্রতি দিন গড়ে হাসপাতালটিতে পাঁচটি সার্জারি করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের এক চিকিৎসক বলেন, ওটি (অপারেশন থিয়েটার) ঠিক আছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সার্জারির পর রোগীদের অন্তত ৩ থেকে ৭ দিন নিবিড় পরিচর্যার প্রয়োজন হয়। সেক্ষেত্রে অপারেশনের পর রোগীকে রাখতে হয় আইসিইউতে। আইসিইউর এসি কাজ করছে না। সে জন্য ওটি বন্ধ রাখা রয়েছে। আইসিইউ ঠিক করার জন্য পিডব্লিউডি কাজ করছে। আশা করছি, শনি-রবিবারের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে।
আইসিইউর কর্মীদের কাছ থেকে জানা যায়, মাসের শুরুতে এসির সমস্যা চিহ্নিত করে হাসপাতালের পরিচালককে জানানো হয়। পরিচালক তখন পিডব্লিউডিকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে বলেন। এ প্রেক্ষিতে পিডব্লিউডি আইসিইউ খালি করতে বলে। ঈদের ছুটি মাথায় রেখে আইসিইউ খালি করার কাজ শেষ হয়েছে। তবে ছুটি শেষ হওয়ার পর পিডব্লিউডি এখনো এসি সিস্টেম মেরামতের কাজ শুরু করতে পারেনি। পিডব্লিউডির কর্মকর্তারা বলেছিলেন ঠিক করে দেবেন। কিন্তু ঈদের ছুটির কারণে ঠিক করতে পারেননি।
জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক ড. মীর জামাল উদ্দিন সার্জারি স্থগিতের পেছনে ৩টি কারণ উল্লেখ করেন—এসি সিস্টেম বিকল হয়ে পড়া, ঈদের ছুটিতে নিয়মিত জীবাণুমুক্তকরণের কাজ এবং পিডব্লিউডির বাড়তি সময় চাওয়া।