প্রথম সম্পর্ক মানুষের জীবনকে অনেক বেশি প্রভাবিত করে। আর ভুলটাও সেখানেই বেশি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। আর এমনটা হলে পরবর্তী সময়ে মানুষ বেশি সাবধান হয়ে যায়। অনেকে তো আবার সম্পর্কের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়েন।
অনেকের মধ্যে আবার ঢুকে পড়ে ভয়। তার চেয়ে বিশ্লেষণ করুন আপনার সঙ্গীকে। দেখুন সে আসলেই ভালো মানুষ কি না। সে জন্য এই বৈশিষ্ট্যগুলো মিলিয়ে দেখতে পারেন। এগুলো তার মধ্যে থাকলে অনেকটাই নিশ্চিন্ত হতে পারেন। চলুন জেনে নিই বৈশিষ্ট্যগুলো–
সবার প্রতি সহানুভূতিশীল
সঙ্গী আপনার প্রতি সহানুভূতিশীল হবে, সেটাই স্বাভাবিক। বিশেষ করে সম্পর্কের শুরুর দিকে। খেয়াল করুন অন্যদের প্রতি তার আচরণ কেমন। বন্ধু, আত্মীয়-পরিজন, এমনকি অপরিচিতদের প্রতি তার আচরণও খেয়াল করুন।
প্রয়োজনে সমর্থন দেয়
আপনার প্রতি তার আচরণ বিবেচনা করুন প্রয়োজনের সময়। যখন আপনি মানসিকভাবে দুর্বল সময় পার করছেন বা কোনো কারণে শারীরিক বা মানসিক সমর্থন দরকার, তখন সে আপনার কতটা খেয়াল রাখছে।
আপনার সাফল্যে সে কতটা উদ্বেলিত
সঙ্গী আপনার সাফল্য কতটা উদ্যাপন করেন, ভালোভাবে লক্ষ করুন। যদি কোনো ব্যাপারে আপনি তার চেয়ে বেশি সাফল্য লাভ করেন, সে কি খুশি হয় নাকি আপনাকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করে? তেমনটা হলে তা মোটেই ভালো কথা নয়।
রাগ ভুলে যায় দ্রুত
সম্পর্কে ভুল বোঝাবুঝি, ঝগড়াঝাঁটি হবেই। এটা এড়ানোর উপায় নেই। গুরুত্বপূর্ণ হলো, সেটার সমাধানে আপনার সঙ্গী কতটা মনোযোগী। যদি সে দ্রুত রাগ ভুলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে আপনাকে সহায়তা করে, তাহলে আপনি সঠিক সঙ্গীর সঙ্গেই আছেন।
স্বাভাবিকভাবেই সমর্থন করে
একে অপরের প্রয়োজনের সময় দুজন দুজনকে সমর্থন করবেন, সেটাই স্বাভাবিক। এটা নিয়ে কৃতিত্ব নেয়ার কিছু নেই বা খোঁটা দেয়াও অনুচিত। যদি আপনার সঙ্গী তেমনটা করে থাকে, তাহলে সেটা বেশ ভাবনার বিষয়ই বটে।
মন থেকে উৎসাহ দেয়
প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে সঙ্গীকে ভালো কথা বলা, তাকে উৎসাহিত করা সম্পর্কের জন্য খুবই জরুরি। তার চেয়ে জরুরি, সেই কথাগুলো মনের ভেতর থেকে আসা। খেয়াল করে দেখুন, সঙ্গী আপনাকে এগুলো আসলেই বলছে, নাকি লোক দেখানো ভদ্রতা করছে।
সত্যিকারের অনুতাপ করে
সম্পর্কে ভুল বোঝাবুঝি যেমন হয়, তেমনি পরস্পরের প্রতি দায়িত্বেও ভুল হয়। অনেক সময়ই একসঙ্গে চলতে গিয়ে সীমা অতিক্রমের ঘটনাও ঘটে। জরুরি হলো, তার পরিপ্রেক্ষিতে সত্যিকারের অনুতাপ করা। সেটা আপনার সঙ্গী করছে কি না, দেখুন।
সীমা অতিক্রম করে না
সম্পর্কে সীমা থাকে বলেই সীমা অতিক্রমের ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে একেকজনের রুচি ও পছন্দ একেকরকম। বোঝার চেষ্টা করুন, সঙ্গী আপনার এই পছন্দ-অপছন্দের সীমাগুলোর ব্যাপারে সচেতন কি না।
সঙ্গীকে হতে হবে সৎ
যেকোনো সম্পর্কেই সততা ভীষণ জরুরি। ভালোবাসার সম্পর্কে তার গুরুত্ব আরও বেশি। এ ব্যাপারে সচেতন থাকা দরকার। বিশেষ করে এর পরীক্ষা হয় যখন সম্পর্কের সঙ্গে বন্ধুত্ব বা ক্যারিয়ার মুখোমুখি হয়ে পড়ে। তেমন হলে আপনিই বুঝে যাবেন, আপনার সঙ্গী কেমন।
তার সঙ্গ শান্তি ও নিরাপত্তা দেবে
শুনতে অদ্ভুত লাগলেও আপনার সঙ্গী যদি আদর্শ হয়, তার সঙ্গে থাকলেই আপনি আশ্বস্ত বোধ করবেন। একধরনের শান্তি ও নিরাপত্তা অনুভব হবে। সে কাছে এলেই আপনার শরীর সেটা অনুভব করতে পারবে।