এক খাবারেই কমবে ওজন!

0
109
ওজন কমবে
ছবি: সংগৃহীত

শরীরের ওজন বেড়ে গেলে চলাফেরায় যেমন অসুবিধা হয় তেমনি বাসা বাঁধতে পারে নানা রোগ-ব্যাধিও। তাই ওজনের কাঁটাকে স্বাভাবিকের গণ্ডিতে বেঁধে রাখা অতি প্রয়োজন। না হলে গুরুতর কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ জন্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, নীরোগ জীবন কাটাতে হলে ওজন রাখতে হবে নিয়ন্ত্রণে।
বর্তমানে চিকিৎসা বিজ্ঞান অনেক উন্নত হয়েছে। প্রতিনিয়ত একাধিক গবেষণা সামনে আসছে। এমনই কয়েকটি সমীক্ষা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়, ওজন বাড়লে বিভিন্ন ঘাতক অসুখ চেপে ধরে। এই তালিকায় ডায়াবেটিস, ব্লাড প্রেশার, কোলেস্টেরল, কিছু বিশেষ ধরনের ক্যানসারের মতো মারণ রোগও রয়েছে। তাই ওজনকে নিজের বশে রাখার চেষ্টা করুন। আর এই কাজে আপনার হাতিয়ার হতে পারে ওটস।

গবেষকরা বলছেন, ডায়েটে কিছুটা বদল আনতে পারলেই ফ্যাট কমবে। আর ওজনকে বশে আনতে চাইলে ডায়েটে রাখতে পারেন ওটস। এই দানাশস্যটির একাধিক গুণ রয়েছে। বহু ঘাতক অসুখকে শরীরের কাছে ঘেঁষতে দেয় না। আসুন এর একাধিক গুণ সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।

ফাইবার সমৃদ্ধ ওটস​

ওজন কমাতে চাইলে ডায়েটে দিনে অন্তত একবার ওটস রাখা উচিত। এই খাবারে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। এই ফাইবার অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। ব্লাড সুগার বাড়তে দেয় না। এ ছাড়া এর ফাইবার দ্রুত ওজন কমাতে সিদ্ধহস্ত।

গবেষণা বলছে, ওটসের ফাইবার পেট দীর্ঘক্ষণ ভর্তি রাখে। ফলে সহজে খিদে পায় না। এ ছাড়া শরীরে ফ্যাট মেটাবলিজমও বাড়িয়ে দেয় ওটস। তাই ওজন কমাতে নিয়মিত ওটস খাওয়া চালু করে দিন। কয়েকদিনেই পবেন ফল।

ব্রেকফাস্ট বা স্ন্যাকস হিসেবে খেতে পারেন

সকালের ব্রেকফাস্ট বা বিকেলের স্ন্যাকস হিসেবে ওটস খেতে পারেন। বিশেষজ্ঞরা বলেন, আমাদের যখন সবথেকে বেশি খিদে পায়, তখন কিছুটা পরিমাণ ওটস খেলে উপকার মেলে। ওটসে থাকা ফাইবার পেট তো ভর্তি রাখেই, পাশাপাশি দ্রুত খিদে পাওয়ার আশঙ্কা কমায়। তাই স্ন্যাকস হিসেবে ওটস হতে পারে আপনার নিত্যসঙ্গী। তারপর দেখবেন কেমন ঝটফট করে ওজন কমে যায়!

প্লেন ওটস খান

ওটস কেনার সময় প্যাকেটের দিকে নজর দিন। টাইমস অব ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদনে ওজন কমাতে প্লেন ওটস খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। তাই কোনও ফ্লেভার মেশানো ওটস খাওয়া চলবে না। দেখা গেছে, সাধারণ ওটসের তুলনায় ফ্লেভার ওটসের প্রতি কাপে প্রায় ৭০ ক্যালোরি বেশি থাকে। তাই এই খাবার খেলে তেমন একটা লাভ মিলবে না। উল্টে ওজন বাড়বে। চেষ্টা করুন প্লেন ওটস খাওয়ার। আশা করছি, দ্রুত নিজের চেহারায় বদল লক্ষ করতে পারবেন।

সাধ্যে কুলালে ব্ল্যাকেবেরি, স্ট্রবেরি​

দ্রুত ফলাফল পেতে চাইলে একটু পয়সা খরচ করতেই হবে। সেক্ষেত্রে ওটসের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারেন ব্ল্যাকবেরি, স্ট্রবেরির মতো ফল। এই ফলগুলোতে রয়েছে ভরপুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। ফলে বিভিন্ন সংক্রামক রোগ-প্রতিরোধে এদের জুড়ি মেলা ভার। তবে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পাশাপাশি এই ফলগুলো ফাইবারের ভাণ্ডার। তাই ওটসের সঙ্গে এই ফলগুলো মেশালে শরীর সুস্থই থাকে। এমনকী ফ্যাটও ঝরে অত্যন্ত দ্রুত। তবে পকেটে টাকা থাকলে পেয়ারা, আপেলও খেতে পারেন। তাতেও সুফল মিলবে।

দুধের সঙ্গে খান​

ওটসকে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে নিলে তার পুষ্টিগুণ কয়েকগুণ বেড়ে যায়। তবে অবশ্যই ফ্যাটলেস দুধের সঙ্গে ওটস মেশাতে হবে। এই কম্বিনেশন থেকে ক্যালশিয়াম, প্রোটিন, ফাইবার সবই পাবেন। অহেতুক ওটসের প্রিপারেশনে মিষ্টি মেশাবেন না। এতে লাভের চেয়ে ক্ষতি হবে। লো ক্যালোরি খাবার থেকে ওটস তখন হাই ক্যালোরি মিলে পরিণত হবে। বাড়বে ওজন।