করোনার মতো আরও একটি মহামারি আগামী এক দশকের মধ্যে আঘাত হানতে পারে বলে সতর্ক করেছে লন্ডনভিত্তিক স্বাস্থ্য বিশ্লেষণ সংস্থা- এয়ারফিনিটি লিমিটেড। সংস্থাটি বলছে, ঘন ঘন নতুন নতুন ভাইরাস আবির্ভূত হওয়ায় এ আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এয়ারফিনিটি লিমিটেড বলছে, জলবায়ু পরিবর্তন, আন্তর্জাতিক ভ্রমণ বেড়ে যাওয়া, জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং জুনোটিক রোগ (এমন ধরনের সংক্রামক রোগ যা মূলত প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হয়) মহামারির ঝুঁকিতে অবদান রাখে। তবে নতুন ভাইরাসের প্রকোপ শুরুর ১০০ দিনের মধ্যে যদি কার্যকর ভ্যাকসিন পাওয়া গেলে মহামারির শঙ্কা অনেকটাই কমে যাবে।
এয়ারফিনিটি বলেছে, বার্ড ফ্লু ধরনের ভাইরাস হলে ভিন্ন পরিস্থিতি দেখা দেবে। মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমিত হওয়ায় ক্ষমতা অর্জন করে যুক্তরাজ্যে ২৪ ঘণ্টায় ১৫ হাজার মানুষকে হত্যা করতে পারে এ ভাইরাস।
বিশ্ব এখন করোনাকে সঙ্গে নিয়েই বাস করছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা পরবর্তী সম্ভাব্য বৈশ্বিক হুমকির মোকাবিলায় মনোযোগ দিচ্ছেন। গত দুই দশকে বিশ্বে তিনটি বড় করোনাভাইরাস দেখা গেছে, এগুলো হলো-সার্স, মার্স এবং কোভিড-১৯। ২০০৯ সালে দেখা দিয়েছিল সোয়াইন ফ্লু মহামারি।
এইচ৫এন১ বার্ড ফ্লু স্ট্রেনের দ্রুত বিস্তার ইতোমধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করছে। যদিও এখন পর্যন্ত অল্প সংখ্যক মানুষ এতে সংক্রমিত হয়েছে। ভাইরাসটির মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমণ হওয়ার এখনও কোনও লক্ষণ নেই। তবে পাখিদের মধ্যে সংক্রমণের হার অনেক বেশি।
মার্স এবং জিকা-এর মতো অনেক উচ্চ-ঝুঁকির ভাইরাসের ক্ষেত্রে অনুমোদিত টিকা বা চিকিৎসা নেই। এয়ারফিনিটি বলেছে, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের যেকোনও মহামারি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে। তবেই অল্প সময়ে তা শনাক্ত করে প্রতিরোধের ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হবে।