ইফতারে আর গরমে আরাম পেতে অনেকেই এ সময় ঝুঁকে পড়ছেন কোল্ড ড্রিংকস আর সফট ড্রিংকসের ওপর। যাতে আপনার ত্বক হয়ে উঠছে আরও নাজুক। তাই সুস্বাস্থ্যের সঙ্গে সৌন্দর্য নিশ্চিত করতে এ সময় আপনি সঙ্গী করতে পারেন এমন কিছু খাবার ও পানীয়, যা সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করার পাশাপাশি ভেতর থেকে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তুলবে।
এর জন্য রমজানের এ সময়টায় গাজর, বিটরুট, শসা, টমেটো, বেদানা, পালং শাক, কমলার রস, অ্যালোভেরার রস, আপেলের রস, কিউ ফলের জুস, তরমুজের রস ইত্যাদি সবজি ও ফলকে প্রাধান্য দিন।
কারণ, ফল ও সবজির জুসে সবচেয়ে কার্যকরী উপায়ে সহজে এবং দ্রুত ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়ানো যায়।রূপচর্চার তুলনায় এটি দ্রুত ত্বকে কাজ করতে শুরু করে। তাই আজ আপনাদের জানাব এমন কিছু পানীয়র কথা, যা ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি করে আপনাকে আরও লাবণ্যময়ী করে তুলবে।
১. বিটরুটের জুস: এক গ্লাস বেগুনি রঙের বিটরুটের জুসে আপনি পাবেন জিংক, আয়রন, ফলিক এসিড, ভিটামিন সি-র মতো পুষ্টি উপাদান। যা রক্ত পরিশোধন করে ত্বককে আরও উজ্জ্বল করে তোলে।
২. গাজরের জুস: কমলা রঙের গাজরের জুসে আপনি পাবেন প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ। ত্বকের বলিরেখা প্রতিরোধ করতে কাজ করে। সেই সঙ্গে দূর করে ত্বকের একনি সমস্যাও।
৩. শসার জুস: গরমে শরীরকে হাইড্রেট রাখতে শসার কোনো বিকল্প নেই। নিয়মিত শসার জুস পান করলে আপনার ত্বক হবে মসৃণ, কোমল ও উজ্জ্বল।
৪. টমেটোর জুস: ত্বকের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতে দারুণ কার্যকরী টমেটোর জুস। গরমে সবচেয়ে বেশি ত্বকের লোমকূপ বড় হয়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে টমেটোর জুস নিয়মিত পান করুন। এছাড়া রোদে পোড়া ভাব, বলিরেখা ও ব্রন দূর করতে টমেটো ভীষণ কার্যকরী।
৫. বেদানার জুস: ত্বককে ফর্সা করার জন্য বেদানার রস বিশেষ কার্যকরী। সেই সঙ্গে অ্যান্টি এজিং হয়ে বয়সের ছাপ দূর করতে, দীর্ঘ সময় তারুণ্য ধরে রাখতে, কোষের কোলাজেন তৈরিতে, রক্ত পরিষ্কার করতে বেদানা দারুণ কাজ করে।
৬. পালং জুস: পালং শাকের জুসও ত্বককে ফর্সা করে তুলতে পারে। এতে রয়েছে ভিটামিন কে, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই যা ত্বকের সুরক্ষা নিশ্চিত করে।
ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে নিয়মিত পান করতে পারেন কমলার রস, অ্যালোভেরার রস, আপেলের রস, কিউ ফলের জুস এবং তরমুজের রসও।