রোজায় কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঘরোয়া উপায়

0
69
কোষ্ঠকাঠিন্য
ছবি: সংগৃহীত

কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় কমবেশি অনেকেই ভুগে থাকেন, আর রমজানে তো কথাই নেই। রমজানে খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তনের কারণে আমাদের স্বাস্থ্যেও কিছু পরিবর্তন আসতে পারে। ইফতারে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভাজাপোড়া ধরনের খাবার খাওয়া হয়। পানি, ফল ও সবজি কম খাওয়া হলেও এই সমস্যা বাড়তে পারে।
এদিকে সারাদিন পানাহার থেকে বিরত থাকার কারণে শরীরে পানির ঘাটতি তৈরি হয়। আর গরমে রোজা কারণে শরীর থেকে ঘামের সঙ্গে পানি বের হয়ে যেতে পারে। এসব কারণে দেখা দিতে পারে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা।

কলা

কলা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, যা এর পটাশিয়াম বৃহদান্ত্র ও ক্ষুদ্রান্ত্রের কর্মক্ষমতা বাড়ায়। অবশ্য যাদের ডায়াবেটিস আছে তারা কলাকে এড়িয়ে চলুন।

নাশপাতি

নাশপাতিতে থাকে সরবিটল নামক উপাদান। এই উপাদান মলের নির্গমনে বাঁধা দূর করে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে নাশপাতির রস কার্যকর। ইফতারের আগে দুটি নাশপাতির বীজ ফেলে টুকরো করে নিন। এবার ফলের টুকরাগুলো ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে রস ছেঁকে নিন। এবার এই রসের সঙ্গে দুই চামচ লেবুর রস ও একটি চিমটি লবণ মিশিয়ে পান করুন। ইফতারে এই পানীয় খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাওয়া সহজ হবে।

লেবু

ভিটামিন সি সমৃদ্ধ লেবু কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে কাজ করে। এই ভিটামিনের পাশাপাশি লেবুতে থাকে মিনারেল যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও কাজ করে।

আপেল

ফাইবারসমৃদ্ধ ফল আপেল। এতে আছে ভিটামিন ও মিনারেল। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে আপেলের রস বেশ সহায়ক। এদিকে মৌরিতে থাকে ডায়াটেরি ফাইবার। এটি মলে পানির অংশ যোগ করে মল নরম করে। রোজায় কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে আপেল ও মৌরি মিশিয়ে খেতে পারেন। আপেলের বীজ ফেলে ছোট ছোট টুকরো করে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। এরপর তাতে আধা কাপ পানি মিশিয়ে ছেঁকে নিন। আপেলের রসের সঙ্গে আধা চা চামচ মৌরির গুঁড়া মিশিয়ে পান করুন। এটি ইফতার বা সেহরির সময় পান করতে পারবেন।
কমলা

ভিটামিন সি এর অন্যতম উৎস হলো কমলা। এই ফলে থাকে ভিটামিন সি, মিনারেল ও ডায়াটেরি ফাইবার। ডায়াটেরি ফাইবার মলে পানি শোষণ ক্ষমতা বাড়ায়, ফলে মল নরম হয়। তাই এ রমজানে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে দূরে থাকতে কমলার রসের সঙ্গে সামান্য লবণ মিশিয়ে পান করতে পারেন।