কিশোরী মেয়ের প্রতি মায়ের যত্ন

0
63
কিশোরী মেয়ে
ছবি: সংগৃহীত

আপনার কিশোরী মেয়ে যদি সদ্য যুবতী হয়, তাহলে মা হিসেবে মেয়ের পাশে আপনাকেই থাকতে হবে। মেয়েরা মায়ের কাছেই এই ব্যাপারে কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। আর তার জন্য প্রথমে যুবতী মেয়ের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে আপনাকে। তার শারীরিক যত্নের সঙ্গে সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে হবে আপনাকেই।

মেয়ের পাশে থাকুন

মেয়ের পিরিয়ড শুরু হয়ে গেছে মানেই যে সে বড় হয়ে গিয়েছে, এমন নয়। মায়েদের মনে যেন এমন ভুল ধারনা জায়গা করে না নেয়। হ্যাঁ, প্রথমটা সে বুঝতে পারবে না। হঠাৎ কেন এমন হলো সে সম্পর্কে জানতে চাইবে। আপনি তা পরিষ্কার করে বলে দিন তাকে। কেন হয়, এর গুরুত্ব কতটা, এইসব নিয়ে খোলাখুলি কথা বলুন। এই সময় মুড সুইং যেহেতু হয়, তাই শরীরের পাশাপাশি যে মনের খেয়ালও রাখতে হবে, তা মেয়েকে বুঝিয়ে বলুন।

মা হিসেবে কী করা উচিত আপনার?

শরীরে হঠাৎ এমন পরিবর্তন অনেকেই মেনে নিতে পারে না। তাদের মনে ভয় ঢুকে যায়। কেউ কেউ আবার ভয়ে কুঁকড়ে যায়। মেয়ের সঙ্গে সহজ হয়ে বরং প্রথম দিনটি উপভোগ করুন। ভালো-মন্দ খাওয়ান তাকে, উপহার দিয়ে বিষয়টি সহজ করে তুলন। সুষম ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়ান। এই সময় মেয়েকে আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়াতে ভুলবেন না যেন!

পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর দিন

মেনস্ট্রুয়েশনের সময় হাইজিন মেইনটেইন করা জরুরি। এই বিষয়টি যেন উপেক্ষিত যেতে না যায়। প্রতি ৪ ঘণ্টা অন্তর স্যানিটারি ন্যাপকিন বদল করার পরামর্শ দিন। এই সময় মেয়েকে তার পোশাকের দিকে নজর রাখতে বলুন। যাতে ইনফেকশনের ছড়িয়ে না পড়ে সে বিষয়েও খেয়াল রাখতে হবে আপনাকেই। পিরিয়ডের প্রথম দিকে ফ্লো খুব বেশি হয় না। তবে, যদি দেখেন অন্যরকমের কিছু হচ্ছে, তবে চিকিৎসকের সঙ্গে একবার আলোচনা করে নেবেন।

মনের দিকেও নজর দিন

পিরিয়ড শুরুর প্রথম কয়েক মাস খুব অস্বস্তিতে কাটবে আপনার মেয়ের। চেনা এই পৃথিবীটা অচেনা লাগতে শুরু করে অনেকেরই। হঠাৎ করেই সেই চঞ্চল মেয়ে কেমন একটা শান্ত হয়ে যেতে পারে। এমনটা চলতে থাকলে আপনি তার পাশে থাকুন। পিরিয়ডের সময় বাইরের পরিবেশে নিজেকে খাপ খাওয়াতে কষ্ট হয়, তাই মা হিসেবে আপনি তার পাশে থাকুন। মনের জোর বাড়ান মেয়ের।