হেডফোন ব্যবহারে কী ক্ষতি, যা বলছে গবেষণা

0
411

ঘরে হোক বা ঘরের বাইরে, যে কোনও পরিস্থিতে হেডফোন ছাড়া থাকা কিছু মানুষের জন্য বেশ কঠিন। কিন্তু এ বিষয়ে অবিলম্বে সতর্ক হতে হবে। কারণ গবেষণায় উঠে এসেছে, হেডফোনের অতি ব্যবহার শিশুসহ বহু মানুষের মধ্যে শ্রবণ এবং বাকশক্তি সংক্রান্ত রোগের হার বাড়িয়ে দিচ্ছে।

সম্প্রতি ইন্ডিয়ান স্পিচ অ্যান্ড হেয়ারিং অ্যাসোসিয়েশন, দিল্লির গবেষণায় উঠে এসেছে এমন তথ্য। কমিউনিকেশন ডিসঅর্ডার নিয়ে এই গবেষণার জন্য দিল্লি এনসিআর এবং জম্মু ও কাশ্মীরে দোরে দোরে ঘুরে তথ্য় জোগাড় করা হয়।

সেই গবেষণা নিয়ে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ রাজেন্দ্র প্রতাপ গুপ্তা বলেছেন, কমিউনিকেশন ডিসঅর্ডারের ঘটনা তিন শতাংশেরও বেশি বেড়ে গেছে। কিন্তু এই রোগ নিয়ে সাধারণ মানুষের সচেতনতা এখনও অনেক কম, যা প্রায় ১১ শতাংশের কাছাকাছি।

তিনি বলেন, ১৯ থেকে ২৫ বছর বয়সীদের মধ্যে শ্রবণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার হার বেড়েছে ৪১.২ শতাংশ। ২৬ থেকে ৬০ বছর বয়সীদের মধ্যে ওই হার বেড়েছে ৬৯.৪ শতাংশ। এই পরিসংখ্যান বলছে হেডফোন ব্যবহার করা নিয়ে সতর্ক হওয়ার এখনই। না হলে হেডফোনের পরিবর্তে অচিরেই হিয়ারিং এড ব্যবহার করতে হবে।

গত মে-জুন মাসে এই গবেষণার জন্য তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এতে দিল্লি-এনসিআর এলাকার ১০ হাজার ২২৮টি পরিবারের ৫৩ হাজার ৮০১ জনের তথ্য নেওয়া হয়েছিল। অন্যদিকে, জম্মু ও কাশ্মীরের এক হাজার ২৫৭টি পরিবারের ছয় হাজার জন গবেষণায় অংশ নিয়েছিলেন।

আলাদা করে দেখা গেছে, দিল্লি-এনসিআর এলাকায় কমিউনিকেশন ডিসঅর্ডারের হার ৩.০৫ শতাংশ। কাশ্মীরে ওই হার ৬.১৭ শতাংশ, জম্মুতে ২.৪ শতাংশ।

পরিসংখ্যান বলছে, দিল্লি এনসিআর এলাকায় স্পিচ সাউন্ড ডিসঅর্ডারস সবচেয়ে বেশি ৬ থেকে ১২ বছর বয়সীদের মধ্যে। ৪২.৪ শতাংশ শিশুই এই ডিসঅর্ডারসে ভোগে। এরপরেই রয়েছে ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সীরা। তাদের ক্ষেত্রে এই রোগের হার ৩১.১ শতাংশ। ফ্লুয়েন্সি ডিসঅর্ডারসও সবচেয়ে বেশি ৬ থেকে ১২ বছরের শিশুদের।

অন্যদিকে, পাঁচ বছর পর্যন্ত যাদের বয়স, তাদের মধ্যে ল্যাঙ্গুয়েজ ডিসঅর্ডারসে সবচেয়ে বেশি সমস্যা বলে উঠে এসেছে এই গবেষণায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ার কিছু ভয়ঙ্কর কুফল রয়েছে। তাই সতর্ক ও সচেতন হয়ে হেডফোন ব্যবহার জরুরি। না হলে বিপদ আরও বাড়বে।

সূত্র: এবিপিলাইভ.কম