সুবিধাবঞ্চিতদের ২০ হাজার মেডিকেল কিট দিচ্ছে সিনোভ্যাক বায়োটেক

0
223

দেশের দুস্থ ও সুবিধাবঞ্চিতদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সঠিক চিকিৎসাসেবা দিতে এবং রক্ত সঞ্চালনের সুবিধা নিশ্চিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়কে (বিএসএমএমইউ) রক্ত পরীক্ষার বিভিন্ন ধরনের প্রায় ২০ হাজার কিট দিয়েছে সিনোভ্যাক বায়োটেক (বাংলাদেশ) লিমিটেড। রক্ত পরীক্ষার এসব কিটের মধ্যে এইচবিএসএজি, এইচসিভি, এইচআইভি, ম্যালেরিয়া, সিফেলিস এবং এবিও ব্লাড গ্রুপ টেস্টিং কিট রয়েছে, যা বিএসএমএমইউ-তে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা রোগীদের রোগ নির্ণয়ে রক্তের বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষায় করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
বুধবার (৬ মার্চ) বিএসএমএমইউর উপাচার্যের কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সিনোভ্যাক বায়োটেক (বাংলাদেশ) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক চিছাও ঝাং (মি. কেভিন) কিটগুলো উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শরফুদ্দিন আহমেদের কাছে হস্তান্তর করেন।

অধ্যাপক ডা. মো. শরফুদ্দিন আহমেদ বলেন, রক্ত পরীক্ষার কিট হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে বিএসএমএমইউ এবং সিনোভ্যাকের একটি নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছে। এই অনুদানের জন্য সিনোভ্যাক বায়োটেক (বাংলাদেশ) লিমিটেডকে বিএসএমএমইউর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানানো হয়। সমাজের সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে রক্ত পরিসঞ্চালন সম্পর্কিত স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার মাধ্যমে সঠিক চিকিৎসাসেবা দানে সহায়ক ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এ সময় সিনোভ্যাক বায়োটেক (বাংলাদেশ) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক চিছাও ঝাং (মি. কেভিন) বলেন, সিনোভ্যাকের পক্ষ থেকে গরিব ও দুস্থ রোগীদের স্বাস্থ্যসেবার জন্য বিভিন্ন ধরনের রক্ত পরীক্ষার জন্য মোট ১৯ হাজার ৯৭৫টি কিট দেয়া হয়েছে। কিটগুলো সাধারণ ও নিম্ন আয়ের মানুষকে সঠিক চিকিৎসাসেবা দিয়ে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। বিএসএমএমইউ ও সিনোভ্যাকের মধ্যে এই নতুন যাত্রার মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাত ভবিষ্যতে আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবে বলেও তিনি এ সময় মন্তব্য করেন।

রক্ত পরীক্ষার কিট হস্তান্তর অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বিএসএমএমইউর ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান ও অধ্যাপক ডা. মো. আসাদুল ইসলাম, অধ্যাপক ডা. আয়েশা খাতুন, সহযোগী অধ্যাপক ডা. আতিয়ার রহমান, সহকারী অধ্যাপক ডা. সোনিয়া শরমিন এবং ডা. সুবর্ণা সাহা, সিনোভ্যাক বায়োটেক (বাংলাদেশ) লিমিটেডের চিফ বিজনেস ডিরেক্টর মিস. বেটি লি এবং পাবলিক রিলেশন ম্যানেজার শাহপরান হক এবং বিএসএমএমইউর অন্যান্য বিভাগের জ্যেষ্ঠ চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন।