সিরাজগঞ্জে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। এতে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতালে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েকগুণ। গত এক মাসে ঠান্ডাজনিত রোগে ১৪ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
চিকিৎসকরা বলছেন, ঠান্ডার এ সময়ে শিশুদেরকে পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন রাখার পাশাপাশি অভিভাবকদের সতর্ক থাকতে হবে।
জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে উত্তরবঙ্গে শীত জেঁকে বসেছে। আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে সিরাজগঞ্জে বৃদ্ধি পাচ্ছে ঠান্ডাজনিত শিশু রোগীর সংখ্যা। প্রতিদিনই জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, সর্দি-কাশি ও জ্বরে আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে হাসপাতালে আসছে অভিভাবকরা।
এদিকে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি রোগী আসায় অনেকেই চিকিৎসা সেবা নিচ্ছে মেঝেতে। অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসক ও নার্সদের।
সিরাজগঞ্জের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেল হাসপাতালের শিশুদের ইনচার্জ শাহনাজ পারভীন বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরেই সিরাজগঞ্জে তীব্র ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। ঠান্ডা বাড়ায় শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিনই নতুন নতুন শিশু ভর্তি হচ্ছে। আন্তঃবিভাগ ছাড়াও প্রতিদিন শত শত শিশুরোগী বহির্বিভাগে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছে।’
হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ আবু সাঈদ সরকার বলেন, ‘শীতকালে ঠান্ডাজনিত রোগ বেড়ে যাওয়ায় অভিভাবকসহ সবাইকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও সচেতন থাকতে হবে।’
সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ডিসেম্বর মাসে শিশু ওয়ার্ডে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত প্রায় ১ হাজার শিশুকে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়েছে। ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে ১৪ শিশু।






