শরীরে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি ‍বুঝবেন যেভাবে

0
114

বিভিন্ন ধরনের ভিটামিনের মধ্যে ভিটামিন ডি এমন একটি পুষ্টিগুণ, যা খাবার গ্রহণের মাধ্যমে পুরোপুরি আমাদের শরীর তৈরি করতে পারে না।

গবেষকরা বলেন, একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির প্রয়োজনের শতকরা ৩০ ভাগ শুধু তৈরি হয় বিভিন্ন ধরনের খাবার গ্রহণ থেকে। বাকি ৭০ ভাগ তৈরির জন্য আমরা পুরোপুরি সূর্যালোকের ওপর নির্ভরশীল। আর এ কারণেই বেশির ভাগ মানুষ ভিটামিন ডি-র অভাবে নানা রোগের শিকার হচ্ছেন।

মূলত ভিটামিন ডি হাড়ের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে, ত্বকের সুস্থতা ধরে রাখতে, এমনকি ক্যানসারের মতো রোগ প্রতিরোধে উপকারী। এটি শরীরের পেশিকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। শরীরে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতেও ভিটামিন ডি কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

বয়সের তারতম্যের ওপর নির্ভর করে শরীরে কতটুকু ভিটামিন ডি-র প্রয়োজন। একজন পূর্ণ বয়স্ক মানুষের দৈনিক ৬০০ ইউনিট ও ১০০০ মাইক্রো গ্রাম ক্যালসিয়ামের চাহিদা থাকে। বয়স বেড়ে ৭০-এর কোঠায় এলে ভিটামিন ডি-র চাহিদার পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ১২০০ মাইক্রোগ্রাম।

ভিটামিন ডি অভাবের লক্ষণ

১. চুল পড়ে যাওয়ার প্রবণতা বেশি দেখা দিলে বুঝতে হবে শরীরে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি রয়েছে।

২. হাড়, পেশিতে দুর্বলতা এবং ব্যথা, অস্থিসন্ধির বিকৃতি এবং দীর্ঘস্থায়ী পিঠে ব্যথা ভিটামিন ডি-র ঘাটতির সাধারণ লক্ষণ হতে পারে।

৩. শরীরে ভিটামিন ডি-র মাত্রা কম হলে মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ দেখা দিতে পারে, যা ঘনঘন মেজাজের পরিবর্তন ঘটাতে পারে।

৪. স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে, ভালোভাবে বিশ্রাম নিয়েও যদি আপনি অলস এবং ক্লান্তবোধ করেন, তবে বুঝতে হবে, আপনার ভিটামিন ডি-র অভাব রয়েছে।

৫. অতিরিক্ত মুটিয়ে যাওয়াকেও ভিটামিন ডি-র ঘাটতি বলে মনে করা হয়। কিংবা হঠাৎ ওজন কমতে থাকা, ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়ার পরও ওজন কমে যাওয়া ইত্যাদি লক্ষণও ভিটামিন ডি-র অভাব হতে পারে।

৬. শরীরে ভিটামিন ডি-র অভাবে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমতে শুরু করে। এ কারণে ঘা শুকাতেও অনেকটাই সময় লেগে যায়।

৭. অকারণে ক্লান্তিভাব, ঝিমুনি এবং শুয়ে-বসে থাকার ইচ্ছে হতে পারে শরীরে ভিটামিন ডি-র অভাবে।

৮. থাইরয়েডে সমস্যা, মেরুদণ্ডের ব্যথা ও অসময়ে দাঁত পড়ে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটে শরীরে ভিটামিন ডি-র অভাব হলে।

৯. ভিটামিন ডি-র অত্যাবশ্যকীয় অভাবে পায়ের হাড় ধনুকের মতো বেঁকে যেতে পারে। এ ছাড়াও গাঁটে ব্যথা এবং বৃদ্ধরা বাতের সমস্যায় ভোগেন।

১০. শিশুদের রিকেট রোগ, বড়দের অস্টিওমিলেশিয়া এবং বয়স্কদের হাড়জনিত ক্ষয় রোগের বড় কারণ ভিটামিন ডি।