রমজানে কখন ব্যায়াম করা উচিত?

0
189

পবিত্র রমজান মাসে আমাদের খাবার এবং ঘুমের রুটিন অন্য যেকোনো মাসের মতো থাকে না, বদলে যায়। তাই রমজানে আপনি যদি ওজন কমাতে চান তাহলে এটি উপযুক্ত সময়। রমজানের ৩০ দিন স্বাস্থ্যকর ডায়েট ও ব্যায়ামের মাধ্যমে ওজন কমানো সম্ভব। এ সময় অনেকে রোজা লাখার পাশাপাশি নিজেদের জন্য ব্যায়ামের জন্য পরিকল্পনা করে ফেলেন। কেউ ইফতারের আগে বা কেউ পরে করতে পছন্দ করে।
গবেষণায় দেখা গেছে, কোনো শারীরিক ব্যায়াম বা কার্যকলাপ না করে একটানা ৩০ দিন রোজা রাখলে শক্তি ও শারীরিক সুস্থতা কমে যায়। তাই সুস্থ থাকতে রমজান মাসেও সক্রিয় থাকতে হবে।

অনেকের মাথায় প্রশ্ন আসে একজন রোজাদারের ব্যায়াম করার সর্বোত্তম সময় কখন- ইফতারের আগে না পরে?

ইফতারের আগে

আপনি চাইলে ইফতারের আগে ব্যায়াম করতে পারেন। তবে এর জন্য আপনাকে সঠিক নির্দেশনা মেনে করতে হবে। আপনি যদি ইফতারের আগে ব্যায়াম করেন, তাহলে ৬০ মিনিটের বেশি করবেন না। এ ছাড়া চেষ্টা করুন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত স্থানে ব্যায়াম করার। এ ছাড়া ইফতারে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি বা তরল পান করুন, যাতে শরীর থেকে বের হয়ে যাওয়া লবণ এবং খনিজগুলো পূরণ করতে পারেন।

ইফতারের পর
রোজার ভাঙার পরে আপনি যদি ব্যায়াম করেন, সেক্ষেত্রে রোজা ভাঙার অন্তত ৩ ঘণ্টা পরে করুন। কেননা এই সময়ে আপনার শরীর হজম প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ফেলে। রমজানে ব্যায়ম করার ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো মনে রাখবেন-

প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট ব্যায়াম করুন। চেষ্টা করুন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত স্থানে ব্যায়াম করার।

দিনের বেলা এবং বিশেষ করে গরম আবহাওয়ায় কিংবা উচ্চ-তীব্রতার ব্যায়াম এড়িয়ে চলুন। গরমের দিন শরীরের তরল ক্ষয় বাড়ায় যা ডিহাইড্রেশন হতে পারে।

রমজানে ব্যায়াম করার জন্য একটি সুবিধাজনক সময় বেছে নিন, হয় ইফতারের ঠিক আগে বা ইফতারের দুই থেকে তিন ঘণ্টা পর। আপনার রোজা ভাঙার সাথে সাথে শারীরিক কার্যকলাপ এড়িয়ে চলুন কারণ শরীরের সব শক্তি খাদ্য হজমের দিকে পরিচালিত হবে।

রোজায় পানিশূন্যতা এড়াতে ইফতার ও সেহরির মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করুন।

সূত্র: হামাদ হেলথ করপোরেশন