ত্বক ও চুলের জন্য ভিটামিন ই ক্যাপসুলের জুড়ি নেই। চুল পড়া রোধে কিংবা ত্বকের সৌন্দর্যে ই ক্যাপ বেশ ভালো কাজ দেয়। এর ভালো দিকের শেষ নেই। তবে কখনও কখনও ব্যবহারের ভুলের কারণে কিছুটা খারাপ প্রভাব পড়ে।
স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইট ই ক্যাপসুলের নানা দিক বিবেচনা করে প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছেন। জানিয়েছেন এর ভালো-খারাপ। জেনে নিই সেগুলো-
ই ক্যাপসুলের ভালো কাজ-
১. ভিটামিন ই ক্যাপ বার্ধক্যের প্রভাব কমায়।
২. হাড়ের সমস্যা রোধ করে। এমনকী বন্ধ্যত্বের সমস্যাও রোধ করে।
৩. নখের সঠিক যত্ন নেয়া খুব জরুরি। নইলে নখের ক্ষতি হতে পারে। ভেঙেও যেতে পারে। ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর জন্য আদর্শ ভূমিকা পালন করে। ক্যাপসুল খুলে ভেতরের তরল পদার্থটি নখ ও এর চারপাশে ভালোভাবে লাগাতে হবে। রাতে লাগালে বেশি ভালো। এতে সারারাত নখ ‘ময়েশ্চার’ থাকবে।
৪. ভিটামিন ই ক্যাপসুল রাতের ক্রিমেরও কাজ করে। এখন একটু শীত শীত বিরাজ করছে প্রকৃতিতে। এই সময়ে ই ক্যাপ সারা রাত মুখের ত্বকে লাগিয়ে রাখলে ত্বক ময়েশ্চার হবে।
৫. ই ক্যাপ এর ভেতরের তেলটি সিরাম হিসেবে কাজ করে।
৬. ভিটামিন ই ক্যাপ চুল পড়া দূর করে। নতুন চুল গজাতেও এর জুড়ি নেই। বাড়িতে আপনি যে তেল ব্যবহার করছেন তার সঙ্গে মিশিয়ে নিলেও এটি ভালো কাজ দেই।
৭. ত্বকের বিভিন্ন বলিরেখা, টান পড়া ত্বক ও অন্যান্য দাগ দূর করতেও এটি অনেক উপকারী।
৮. ই ক্যাপ সানবার্ন থেকেও রক্ষা করে। সমুদ্রে বেড়াতে যাওয়ার আগে ই ক্যাপ আপনাকে রোদে পোড়া থেকে বাঁচাবে।
ই ক্যাপসুলের খারাপ প্রভাব-
ই ক্যাপসুলের ভালো গুণের ভীড়ে খারাপ গুণ পাওয়া মুশকিল। তবুও এর ব্যবহার ভুল হলে খারাপ প্রভাবও বয়ে আসতে পারে।
১. ভিটামিন ই ত্বকের জন্য স্বাস্থ্যকর হলেও মনে রাখা জরুরি, সরাসরি ত্বকে লাগালে কারও কারও ক্ষতি হতে পারে। যাদের ত্বক খুব সংবেদনশীল ভিটামিন ই-র সরাসরি ব্যবহার, তাদের ত্বকে প্রদাহের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
২. ত্বক ভাল রাখতে সরাসরি ভিটামিন ই ব্যবহার না করে, বরং দই, মধু, লেবুর রসের মিশ্রণ মুখে লাগাতে পারেন। এতে ত্বক উজ্জ্বল হবে। ব্রণ বা ত্বকের অন্যান্য দাগছোপ কমাতে পাকা পেঁপের সঙ্গে মধু, লেবুর রস এবং ভিটামিন ই ক্যাপসুলের নির্যাস মিশিয়ে মুখে লাগান।
৩. অত্যাধিক পরিমাণে সেবন করলে আমাশয় সহ এলার্জিজনিত রিয়্যাকশন দেখা দিতে পারে।
৪. বেশি সেবন করলে ওজন বেড়ে যাওয়ার কথাও শোনা যায়।




