বিশ্বে দিন দিন বেড়েই চলছে বায়ুদূষণের মাত্রা। অন্যান্য দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মেগাসিটি ঢাকার বায়ুদূষণও। শহরটির বাতাস গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরির পর্যায়ে রয়েছে। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
সংবাদমাধ্যম থেকে জানা যায়, পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের এক যৌথ প্রতিবেদনে ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান তিনটি কারণ উল্লেখ করা হয়। এগুলো হলো—ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণকাজের ধুলা। নগরবিদ ও পরিবেশকর্মীরা বলছেন, দূষণের কারণ চিহ্নিত করা হলেও প্রতিকারের কার্যকর কোনো উদ্যোগ বা ব্যবস্থা নেই।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জন দূষিত বাতাসে শ্বাস নেন এবং বায়ুদূষণের কারণে প্রতি বছর প্রধানত নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু হয়।
বাতাস যতই দূষিত হোক কাজের প্রয়োজনে সবাইকে বের হতে হয়। তাই সচেতনতা বজায় রাখা জরুরী। জেনে নিন কোন কোন উপায়ে নিরাপদ থাকা যায়-
১. প্রথম কথা হলো শ্বাস নিলেও যেন দূষণটা শরীরে প্রবেশ না করে। তাই বাইরে বের হলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। তবে প্রতিদিন মাস্ক পরিবর্তন করাও জরুরী। কারণ আগের জীবানুটা মাস্ক বহন করতে পারে।
২. বাইরে থেকে ঘরে ফিরে কিংবা অফিসে পৌঁছে হাত মুখ ভালো করে পরিষ্কার করতে হবে। হাতে থাকা ময়লা নাক দিয়ে প্রবেশ করলে শরীরে বড় রোগ হানা দেয়ার সম্ভাবনা থাকে।
৩. এই মাসটা রুক্ষতার মাস। চারদিকে ধুলাবালিতে ভরপুর। নানা রকম অসুখবিসুখ লেগে রয়েছে ছোট-বড় সবার। তাই বাইরে বের হলে গাড়ির জানালা বন্ধ করে রাখুন। শিশুদের ধুলাবালি নাকে গেলেই ঠান্ডা-কাশি লেগে যেতে পারে।
৪. ঘরে আলো-বাতাস আসা প্রয়োজন কিন্তু বাতাসে যেহেতু ভয়াবহ দূষণ তাই জানালা না খোলাই ভালো। তবে ঘরে ভারি পর্দা ব্যবহার করুন।
৫. রাস্তার পাশে বাসা হলে শিশুদের বারান্দায় না যাওয়ায় ভালো কারণ গাড়ির কালো ধোঁয়া, বাতাসের দূষিত পদার্থের সঙ্গে জুটি বেধে আপনার বিপদ বয়ে আনবে।
৬. বারান্দায় সবুজের ছোঁয়া আপনার বাসাটাকে দূষণমুক্ত রাখবে। অক্সিজেন বাড়িয়ে খারাপ পদার্থ বর্জন করবে।

