হঠাৎ করেই যেন বাড়ছে শিশুদের হ্যান্ড ফুট মাউথ রোগ। প্রথমে জ্বর, পরে র্যাশ। এরপর হাতে মুখে পায়ে তা ফোসকার মতো ছড়িয়ে পড়ে। ভাইরাসজনিত এই রোগটি নিয়ে তেমন সচেতনতা না থাকায় ছোঁয়াচে এই রোগ ছড়াচ্ছে আরও বেশি।
চিকিৎসকরা বলছেন, নিয়ম মেনে চললে ৭ থেকে ১০ দিনেই শিশু সুস্থ হয়ে ওঠে। তবে আক্রান্ত শিশুকে অবশ্যই অন্য শিশু থেকে আলাদা রাখার পরামর্শ তাদের।
৮ বছরের মুশফিক আর ৯ মাসের তানসিফ; দুই ভাই। দুজনেরই একই সমস্যা। তিন-চারদিন আগে একটু জ্বর হয়ে হাতে-মুখে-পায়ে ফোসকা; এরপর চুলকানি। চিকিৎসক জানালেন ‘হ্যান্ড ফুট মাউথ’ রোগের কথা।
বাংলাদেশ শিশু হাসপাতালের বর্হিবিভাগে এখন প্রতিদিনই এমন রোগী আসছে ৩০ থেকে ৪০ জন। একমাস ধরে ক্রমেই যেনো বাড়ছে এই সংখ্যা। তবে এখনও অনেকেই জানেন না শিশুদের এই রোগ সম্পর্কে ।
চিকিৎসকরা বলছেন, ককসেকি ভাইরাসের কারণে শূন্য থেকে ১২ বছরের শিশুদের হয় এই ছোঁয়াচে রোগ। যাতে হাতে-মুখে-পায়ে ফোসকার মতো দেখা দেয়।
বাংলাদেশ শিশু হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মো. তানভীর আহমেদ জানালেন, লক্ষণ হিসেবে প্রথমে জ্বর, এর পরপরই নির্দিষ্ট স্থানে র্যাশ। যা পরের চার-পাঁচদিনে ফোসকায় রূপান্তরিত হয়ে চুলকানি ও ব্যথা হয়। যাদের মুখের ভেতরে হয় তাদের ক্ষেত্রে লালা ঝড়ে। চার-পাঁচ দিন পরে আপনা আপনিই কমতে থাকে।
তিনি জানান, প্রায় ৩০ শতাংশ রোগী এখন এই রোগ নিয়ে হাসপাতালে আসছেন। গত এক থেকে দেড় মাস ধরে এমন অবস্থা চলছে। যদিও এই রোগ নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই বলেও মত এই চিকিৎসকের।
তবে প্রাথমিকভাবে এই রোগের নির্দিষ্ট কোন চিকিৎসা নেই- বলছেন তারা। ব্যাথা-চুলকানির মতো লক্ষণ বুঝে ওষুধ দিতে হবে শিশুকে। চিকিৎসকরা বলছেন, এজন্য থাকতে হবে সচেতন। বিশেষ করে আক্রান্ত শিশুকে সাতদিনের কোয়ারেন্টাইনে রাখতে পারলে হবে সব থেকে ভালো। তা না হলে খেয়াল রাখতে হবে যেনো আক্রান্ত শিশু অন্য শিশুর সংস্পর্শে না আসে। লক্ষ্য রাখতে হবে স্কুল, বাজার কিংবা খেলার মাঠে না যায়।
এই রোগের বিষয়ে সচেতনতা বাড়তে সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোকে আরও তৎপর হওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞের।






