চিকেন পক্স হলে কি গোসল করা যাবে?

0
201

চিকেন পক্স ছোঁয়াচে রোগ। চিকেন পক্সে আক্রান্ত হওয়ার ১০-২১ দিনের মধ্যে ভালো হয়ে যায়। চিকেন পক্সের কারণে শরীরে ছোট ছোট লালচে ফোসকা ওঠে। এর সঙ্গে দেখা দেয় মাথাব্যথা, জ্বর। চিকেন পক্সের সবচেয়ে খারাপ দিক হলো এর লালচে ফোসকার সঙ্গে মারাত্মক চুলকানি। ফলে ফোসকা ফেটে গেলে তা থেকে আরও বেশি মাত্রায় ফুসকুড়ির মতো উঠতে শুরু করে।

অনেকে ভাবেন এটি হলে কী গোসল করা যায়। আগে এই রোগ নিয়ে অনেক কসংস্কার ছিল। যেমন খাবারের তালিকা থেকে পুষ্টিকর খাবার বাদ দেয়া হতো। আবার ৭ দিন না হলে বাড়ির বয়স্করা গোসল করতে কড়া নিষেধ করতো। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন গোসল করা যাবে। কারণ এসময় শরীর নাজুক হয়ে ওঠে তাই ঠান্ডা রাখা জরুরি।

১. শরীর ঠান্ডা রাখতে গোসল করা যাবে এসময়। তবে অতিরিক্ত ঠান্ডা পানিতে গোসল না করাই ভালো।

২. নিমের পাতা পানিতে ফুটিয়ে সেই পানি দিয়ে গোসল করলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। নিমের অ্যান্টিসেপ্টিক উপাদান এটি নির্মূল করতে সাহায্য করে।

৩. এ সময় বারবার জ্বর হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই প্রাপ্তবয়স্করা প্যারাসিটামল খেতে পারেন। তবে ছোটদের ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

৪. ব্যথার হাত থেকে মুক্তি পেতে ঠান্ডা পানি দিয়ে শরীর মুছিয়ে দিন, এতে ত্বকে খানিকটা হলেও আরাম পাওয়া যাবে।

৫. একটু কষ্ট হলেও দুবেলা জামা-কাপড় বদলানো উচিত। তাহলে সংক্রমণের ঝুঁকিও কিছুটা কমে।

৬. এ সময়ে সুতি ছাড়া অন্য কাপড়ের পোশাক পরবেন না, তাতে চুলকানি বা অস্বস্তি বেড়ে যেতে পারে।

৭. অতিরিক্ত চুলকানোর জন্য এন্টিহিস্টামিন জাতীয় ঔষধ ব্যবহার করতে পারেন।

৮. চিকেন পক্স হলে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন সি যুক্ত খাবার এবং সবজি খেতে হবে।

ত্বকে চিকেন পক্স উঠলে দেরি না করে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। ছয় মাসের কম বয়সী শিশুর চিকেন পক্স হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিতে হবে। কেননা ছয় মাসের কম বয়সী শিশুদের সংবেদনশীলতা প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় খুবই কম থাকে এবং এদের সংক্রমণ বা সংক্রমনের সাথে আরো বিভিন্ন রোগের ও উপসর্গ দেখা দিতে পারে।