গরমে ত্বকে ফোঁড়া হওয়ার আশঙ্কা থাকে প্রবল। গরমে ঘাম জমে সাধারণত ফোঁড়া হয়। শরীরের যে সব স্থানে বেশি ঘাম জমে, সেখানেই এই ধরনের অবাঞ্ছিত সমস্যার সৃষ্টি হয়।
শরীরে কোনো স্থানে হঠাৎ ফুলে লাল হয়ে যাওয়াকেই ফোঁড়া বলা হয়। সেই সঙ্গে প্রচণ্ড ব্যথাও থাকে। কারও আবার ফোঁড়া হলে জ্বরও আসে।
মূলত শরীরের কোনো স্থানে যদি ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া বাসা বাঁধে, সেখান থেকেই ফোঁড়ার জন্ম হয়। এ ছাড়া শরীরের যে অংশে অতিরিক্ত ঘাম হয়, সেই স্থান গুলিতেই ফোঁড়া হয় বেশি। ডায়াবেটিস, ক্যান্সার কিংবা কিডনির কোনো ক্রনিক সমস্যা থাকলেও ঘন ঘন ফোঁড়া হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
ফোঁড়া দ্রুত সারাতে কী করবেন?
শরীরের যে অংশেই ফোঁড়া হোক, নিজে চিকিৎসা করতে যাবেন না। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলার চেষ্টা করুন। কোনো ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফোঁড়া কমাতে যাওয়ার চেষ্টাও করবেন না। তাতে হিতে বিপরীত হতে পারে।
ফোঁড়া হলে সুতির হালকা পোশাক পরার চেষ্টা করুন। এক্ষেত্রে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখা জরুরি। নিয়মিত গোসল করুন। ব্যবহৃত পোশাক না ধুয়ে পরবেন না। অন্তর্বাসের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য।
ফোঁড়া হলে সুগন্ধিযুক্ত কোনো সাবান ব্যবহার না করাই ভালো। তা ছাড়া বাজার চলতি কোনো ক্রিম, সুগন্ধিও এড়িয়ে চলুন। বরং পানিতে নিম পাতা ভিজিয়ে তা দিয়ে গোসল করতে পারেন। উপকার পাবেন। আবার গোসলের পানিতে এক ফোঁটা ডেটলও দিতে পারেন।
সারা বছর যারা বেশি ঘামেন, গরমকালে চেষ্টা করুন ঠান্ডা পরিবেশে থাকার। গরমে এমনিতে বেশি ঘাম হয়। তার ফলে ফোঁড়া হওয়ার আশঙ্কা আরও বাড়ে। বাইরে থেকে ফিরে গোসল করে নিন। সঙ্গে রুমাল কিংবা তোয়ালে রাখুন। ঘাম হলেই মুছে নেবেন।






