গরম পড়লেই অনেকের ত্বকের বেহাল দশা হয়ে যায়। গ্রীষ্মকালে এ সমস্যাটা হয় আরও প্রকট। রোদ, ঘামে ত্বক ধীরে ধীরে নির্জীব হয়ে পড়ে। আর এ গরমে ত্বকের কোমলতা ধরে রাখতে চেষ্টার কমতি রাখেন না কেউই। সানস্ক্রিন ক্রিম, বাজারে চলতি ক্রিম ছাড়াও আরও অনেক রকমের ব্যবস্থা। সেই সঙ্গে রয়েছে ঘরোয়া হাজারো রকমের ব্যবস্থা।
কিন্তু এত কিছু করেও বিশেষ একটা লাভ হচ্ছে না। দীর্ঘদিনের চেষ্টায় যে ফল পাওয়া যায় তা মোটেও আশানুরূপ নয়। তা হলে উপায় কী?
আজ এমন কিছু পানীয়ের কথা আপনাদের জানাবো যেগুলো শরীরের যাবতীয় টক্সিন বাইরে বের করে দিয়ে ত্বককে রাখে পরিষ্কার। সেই সঙ্গে বাড়ায় ত্বকের সৌন্দর্যও।
লেবু ও মধুর রস: শরীরের মেদ ঝরিয়ে ওজন কমাতে লেবু-মধুর মিশ্রণ খুব উপকারী। অনেকে তা নিয়মিত খেয়েও থাকেন। কিন্তু আপনি জানলে অবাক হবেন, এ মিশ্রণটি ত্বকের জেল্লা বাড়াতেও দারুণ ভূমিকা পালন করে। শরীরের জমে থাকা টক্সিন শরীর থেকে বের করে দেয় এ পানীয়। লেবুতে থাকা অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল এবং অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি উপাদান ত্বকের যাবতীয় সংক্রমণ দূর করে। সেই সঙ্গে ত্বককে করে মসৃণ ও উজ্জ্বল।
গ্রিন টি: গ্রিন টির স্বাস্থ্যগুণ নিয়ে আলাদা করে বলার কিছু নেই। ওজন কমানো থেকে শুরু করে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ সব কাজের কাজী গ্রিন টি। ত্বকের যত্নেও গ্রিন টির রয়েছে অনবদ্য ভূমিকা। গ্রিন টি এমন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা ত্বকের প্রতিটি কোষকে সজীব রাখে। ফলে বাইরে থেকেও ত্বকে ফুটে উঠে জেল্লা।
শসার রস: হজমের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে, ওজন কমানো ডায়েটে শসা একটি অপরিহার্য উপাদান। সালাদ তৈরিতে তো শসা না হলে চলেই না। এ ছাড়া শসা ত্বকের খেয়ালও রাখে। শসা ত্বকে বাড়তি জৌলুস পেতে সাহায্য করে। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের যাবতীয় টক্সিন বা দূষিত পদার্থগুলো বের করে দেয়। শরীরকে আর্দ্র রাখার পাশাপাশি ব্রণের সমস্যা কমাতেও শসা রস দারুণভাবে কাজ করে।






