গরমে অতিরিক্ত ঘেমে যাওয়া কি খারাপ?

0
190

বাইরে বেজায় গরম। চলাফেরায় যেন কষ্টসাধ্য। তবু বের হতে হচ্ছে কাজের প্রয়োজনে। এই গরমে ঘরে কিংবা বাইরে রোদের তাপ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ঘাম হচ্ছে অসহনীয়। অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে অতিরিক্ত ঘেমে যাওয়া খারাপ লক্ষণ নাকি স্বাভাবিক?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘাম কখনও ভালো আবার কখনও খারাপ হয়ে ওঠে। এটা নির্ভর করে শরীরের প্রক্রিয়ার ওপর। তবে ঘামের মাধ্যমে শরীর বাড়তি তাপ হারিয়ে শীতল হয়। তখন ঘাম উপকারী। তবে কারও কারও স্বাভাবিক তাপমাত্রায় বা সামান্য পরিশ্রমেও অতিরিক্ত ঘাম হতে দেখা যায়।

ঘামের নানা কারণ ও কখন খারাপ প্রভাব তৈরি হয় তা দেখে নেয়া যাক-

১. মানসিক উত্তেজনা, রাগ, ভয়, উদ্বেগের কারণে ঘাম বেড়ে যেতে পারে। তবে প্রতি রাতে ঘুমের মধ্যে অতিরিক্ত ঘেমে যাওয়া, জ্বর জ্বর ভাব, গা ম্যাজম্যাজ থাকলে সাবধান হওয়া উচিত। যক্ষ্মা বা লসিকাগ্রন্থির ক্যানসারে রাতে অতিরিক্ত ঘাম হতে পারে।

২. অনেক সময় ডায়াবেটিস রোগীরা হঠাৎ করেই ঘেমে যায়। রক্তে শর্করা কমে গেলেেএমনটা হতে পারে। এ ক্ষেত্রে তার সঙ্গে বুক ধড়ফড়, মাথা ঘোরা, দুর্বলতা, হাত কাঁপুনি থাকতে পারে। এমনটি হলে দ্রুত সহজ শর্করা যেমন চিনির শরবত খেয়ে নিলে সমস্যা মিটে যাবে।

৩. অনেক সময় কিছু ওষুধের প্রভাবেও ঘাম হয় বেশি। কারও কারও হতে পারে কফি-চা পান করার পরও।

৪. অতিরিক্ত গরমে বা রোদে বেশি ঘেমে গেলে মাথা ঘোরে, শরীর দুর্বল লাগে, ঝিমঝিম করে। পানি ও লবণ বেরিয়ে যায় বলে এমনটা লাগে।

৫. তাই গরমে বেশি ঘামলে যথেষ্ট পানি, স্যালাইন পানি, ডাবের পানি পান করুন। উদ্বেগজনিত সমস্যা থাকলে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হোন। পরীক্ষা বা কোনো দুশ্চিন্তায় বেশি ঘাম, হাত-পায়ের তালু ঘামা উদ্বেগের লক্ষণ।