শরীরচর্চার বিভিন্ন মাধ্যমের মধ্যে অন্যতম একটি প্রাচীন এবং জনপ্রিয় পন্থা হল দৌড়। কিন্তু কে কতটা দৌড়াবেন বা কত ক্ষণ সময় ধরে দৌড়াবেন, তার উপর নির্ভর করে ফলাফল। বিশেষজ্ঞদের মতে, দৌড়ের মাধ্যমে সবচেয়ে ভালো ফল পেতে বেশ কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হয়। যেমন গতি, সময় এবং সচেতনতা। চিকিৎসকদের মতে, খুব জোরে দৌড়ানোর পর হাঁপিয়ে পড়ার থেকে ভালো তুলনায় কম গতিতে বেশি সময় ধরে দৌড়ানো।
ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজারের প্রতিবেদন বলছে, চিকিৎসকদের একাংশ মনে করেন, কোনও রকম ঝাঁকুনিই শরীরের জন্য ভালো নয়। এমনকি, খুব জোরে দৌড়ানোর ফলেও শরীরে ঝাঁকুনি হতে পারে। যার প্রভাব সরাসরি হৃৎস্পন্দনের উপর পড়ে। আবার যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্যও এই অভ্যাস মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে।
ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াও প্রত্যেককেই নিজের শরীর সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। কার শরীরে কী সমস্যা হচ্ছে, তা একমাত্র সেই ব্যক্তিই সব চেয়ে ভালো বুঝতে পারেন। তাই রক্তচাপ হঠাৎ বে়ড়ে গেলে বা রক্তের চাপ হঠাৎ কমে গেলে সেই সময়ে খুব জোরে দৌড়নো একেবারেই উচিত নয়। অবশ্য যারা দীর্ঘদিন দৌড়ানোর অভ্যাসের মধ্যে আছেন, তারা জানেন কখন দৌড়ের গতি বাড়াতে হয়, আবার কখন ধীরে ধীরে দৌড়ের গতি কমিয়ে আনতে হয়।
প্রশিক্ষকরা বলছেন, শরীরের ক্ষমতা অনুযায়ী ৭ থেকে ৮ মিনিটে এক কিলোমিটার অতিক্রম করতে যতটুকু গতিবেগ প্রয়োজন, সেটুকু করা যেতেই পারে। তবে দৌড়ানোর পাশাপাশি খাদ্যাভাস, পরিমাণ মতো পানি খাওয়া এবং পর্যাপ্ত ঘুমানোও জরুরি।






