মাঝে মধ্যেই সকালে অফিসে পৌঁছতে না পৌঁছতেই একরাশ ক্লান্তি এসে জড়ো হয় শরীরে। কাজে কিছুতেই মন বসে না। সারাক্ষণ যেন চোখে ঘুম ঘুম ভাব। অনেকেরই এমন হয়। কিন্তু কেন হচ্ছে এমন, তা বুঝতে পারেন না অনেকেই।
চিকিৎসকদের তথ্যমতে, এই ক্লান্তির নেপথ্যে রয়েছে ‘ক্রনিক ফ্যাটিগ সিনড্রোম’। ব্যস্ত জীবনে মাঝে মধ্যেই এই সিনড্রোমে ভোগেন অনেকেই। কিন্তু কেন এমনটা হয়?
১) একসময় ছিল শুধু টেলিভিশন দেখার নেশা। কিন্তু বর্তমানে তার সঙ্গে ফোন, কম্পিউটারের মতো নানা ধরনের প্রযুক্তি পণ্য যোগ হয়েছে। এ সবের নেশায় কমছে ঘুমের সময়। তাই প্রয়োজন মতো বিশ্রাম পাচ্ছে না শরীর। ক্লান্তিও কাটছে না।
২) মানসিক স্বাস্থ্যের উপরও নির্ভর করে ক্লান্তি। টানা মানসিক চাপ থাকলে তার চাপ গিয়ে পড়ে পেশিতেও। মাথাব্যথা, পেটের সমস্যাও লেগে থাকে। সব মিলে ক্লান্তি থেকে যায়।
৩) অনেক সময়ে দীর্ঘ দিন ধরে কোন কাজ করা হলে সেই কাজে অনীহা চলে আসে। এক অফিসে একটানা একই রকম কাজ করতে হলে সেই কাজে মন বসে না। কাজ করতে ক্লান্তি আসে শরীরে। এমনটা হলে নতুন কাজের সন্ধান করতে হবে।
৪) রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে থাকলেও জানান দেয় শরীর। ক্লান্তি হল ডায়াবিটিসের একটি গুরুতর উপসর্গ।
৫) শরীরের ওজন যত বেশি হবে, যে কোনও কাজেই তত বেশি খাটনি হবে। ফলে অনেক বেশি শক্তি ক্ষয় হবে। তাই স্থূলতার কারণেও কাটতে চায় না ক্লান্তি।






