বিশ্বের বিভিন্ন শহরে দিন দিন বাড়ছে বায়ুদূষণ। দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণের কবলে মেগাসিটি ঢাকাও। সম্প্রতি বৃষ্টির কারণে শহরটির বায়ুদূষণ আগের চেয়ে কিছুটা কমেছে। তবুও তা জনস্বাস্থ্যের জন্য খুব একটা স্বাস্থ্যকর নয়।
শনিবার (৩১ আগস্ট) আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী ঢাকার বায়ুদূষণ মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
সকাল ১০টার দিকে আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ৫৬ স্কোর নিয়ে ৬৫ নম্বরে রয়েছে রাজধানী ঢাকা। একই সময়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ১৭৭ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের রাজধানী কিনশাসা।
এ ছাড়া ১৬৯ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর শহর, ১৫৮ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে উগান্ডার রাজধানী কামপালা, ১৩৯ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই শহর এবং ১১৭ স্কোর নিয়ে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি শহর।
একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়, আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।
২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এ ছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে। যেমন -বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। এটা সব বয়সি মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।

