সন্তান বড় হচ্ছে? জেনে নিন ৫ বিষয়

0
131

একটি শিশুর জীবনে জন্ম থেকে প্রথম পাঁচ বছর পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়। এই সময় শিশুর মস্তিষ্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিকাশ ঘটে যা তার ভবিষ্যত, শিক্ষা এবং আচরণের ভিত্তি স্থাপন করে। প্রতিটি বাবা-মায়ের কর্তব্য তাদের সন্তানদের এমন পরিবেশ দেওয়া যা স্বাস্থ্যকর বৃদ্ধি এবং বিকাশ সমর্থন করে।

আসুন, জেনে নিই প্রাথমিক অবস্থায় কীভাবে শিশুদের লালন-পালন করা উচিত।

সঠিক পুষ্টি

সঠিক পুষ্টি একটি শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশে মৌলিক ভূমিকা পালন করে। আপনি যখনই আপনার শিশুকে খাওয়াবেন, নিশ্চিত করুন যে তার খাদ্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি সমৃদ্ধ। প্রাথমিক মাসগুলোতে বাচ্চাদের বুকের দুধ খাওয়ানো উচিত। তবে ধীরে ধীরে শক্ত খাবার দেওয়া শুরু করুন। প্রয়োজনে আপনার শিশুর ডায়েট চার্ট বিশেষজ্ঞের থেকে তৈরি করে নিন।

পর্যাপ্ত ঘুম

পর্যাপ্ত ঘুম শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আপনার শিশুকে ভালো ঘুমের অভ্যাস গড়ে তুলতে সাহায্য করুন। এতে আপনার শিশু আরও সতর্ক হতে পারে এবং আরও শিখতে পারে। এতে শিশুরা তাদের আবেগ ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়।

সামাজিক যোগাযোগ

আপনার সন্তানকে সামাজিক হতে শেখান। আসলে অনেক অভিভাবকই সন্তানকে কারও সঙ্গে মিশতে দেন না। এ অবস্থায় তারা থাকে অন্তর্মুখী। বহির্বিশ্বের সঙ্গে তাদের কোনও যোগাযোগ নেই। এমন পরিস্থিতিতে সন্তানকে পরিবার বা আশপাশের লোকজনের সঙ্গে মেলামেশা করতে উৎসাহিত করা জরুরি। আপনি তাদের পার্কে নিয়ে যান, বন্ধুত্ব করতে উৎসাহিত করুন। এতে তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়বে। শিশুরা তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হবে।

নিঃশর্ত ভালবাসা এবং মানসিক নিরাপত্তা

বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি শক্তিশালী মানসিক বন্ধন হলো মনস্তাত্ত্বিক সুস্থতার ভিত্তি। শিশুকে একটি প্রেমময় পরিবেশ দিলে বিশ্বাস এবং মানসিক নিরাপত্তা তৈরি হয়। আপনি যদি শিশুকে শারীরিক স্নেহ দেন, তার সঙ্গে মিষ্টি করে কথা বলেন, এই সব বিষয়গুলো শিশুর মধ্যে একনিষ্ঠতা এবং আত্মসম্মানবোধ তৈরি করে।

রেসপন্সিভ প্যারেন্টিং

প্রতিক্রিয়াশীল প্যারেন্টিং প্রতিটি পিতামাতার দ্বারা অনুশীলন করা উচিত। পিতামাতার জন্য তাদের সন্তানদের চাহিদা বোঝা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ একটি ছোট শিশু তার চাহিদাগুলো আপনাকে বলার জন্য যথেষ্ট বুদ্ধিমান নয়। আপনার সন্তান ক্ষুধার্ত হোক বা সান্ত্বনা দরকার বা কথা বলতে চায়, প্রতিটি পরিস্থিতিতে তাকে সাড়া দিন, আপনার সন্তানের চাহিদাকে মূল্য দিন। এটি শিশুর আত্ম-মূল্যবোধ বৃদ্ধি করে।