স্তন ক্যানসার সম্পর্কে সাধারণ জনগণকে সচেতন করতে এবং প্রতিরোধে স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক বিশেষ এক সেমিনারের আয়োজন করেছে ইনার হুইল ক্লাব অব জাহাঙ্গীনগর ঢাকা। স্তন ক্যানসার সচেতনতা মাস উপলক্ষে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) রাজধানীর স্টেট ইউনিভার্সিটিতে বেলা ১১টায় সেমিনারটি শুরু হয়ে চলে দুই ঘণ্টাব্যাপী।
এ সেমিনারে স্তন ক্যানসার বিষয়ক নানা বিষয় তুলে ধরেন ল্যাবএইড ক্যানসার হাসপাতাল অ্যান্ড সুপার স্পেশালিটি সেন্টারের সিনিয়র দুজন ক্যানসার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। এ ছাড়া ওই সেমিনারে স্তন ক্যানসার থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা ১০ নারীর হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়। এ সেমিনারে অংশ নিয়েছিল ১৮টি ক্লাব, স্টেট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীসহ অনেকে।
সেমিনারে অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশে ল্যাবএইড ক্যানসার হাসপাতাল অ্যান্ড সুপার স্পেশালিটি সেন্টারের অনকোপ্লাস্টিক ব্রেস্ট সার্জন ডা. আলি নাফিসা বলেন, স্তন ক্যানসারকে ভয় না পেয়ে এটির মোকাবিলা করতে হবে। এ সময় তিনি ব্যাখ্যা করেন চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে। সবশেষ এ চিকিৎসক সবার উদ্দেশে দেখান, নিজেই কীভাবে হাত দিয়ে স্তন পরীক্ষা করা যায়, সেটির সঠিক পদ্ধতি।
স্তন ক্যানসারের চিকিৎসা পদ্ধতি এবং এ বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরে বক্তব্য দেন ল্যাবএইড ক্যানসার হাসপাতাল অ্যান্ড সুপার স্পেশালিটি সেন্টারের ক্লিনিক্যাল ও রেডিয়েশন অনকোলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ব্রিগেডিয়ার জেনারেল প্রফেসর ডা. মো. ইউসুফ আলী।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে ১৫ লাখেরও বেশি নারী স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হন এবং প্রতি লাখে ১৫ জন নারী মৃত্যুবরণ করেন। এ ছাড়া প্রতি আটজনে একজন নারী স্তন ক্যানসারের ঝুঁকিতে থাকেন। তবে প্রাথমিক অবস্থাতেই যদি সঠিক চিকিৎসা করা হয়, তাহলে স্তন ক্যানসার সম্পূর্ণ ভালো হয়ে যায়। তাই এ বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর বিকল্প নেই।
পুরো অক্টোবর মাস জুড়ে স্তন ক্যানসার সচেতনতার উদ্দেশে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক এই সেমিনারের আয়োজন করে ইনার হুইল ক্লাব অফ জাহাঙ্গীনগর ঢাকা এবং এই আয়োজনের স্বাস্থ্য বিষয়ক পার্টনার ছিল ল্যাবএইড ক্যানসার হাসপাতাল অ্যান্ড সুপার স্পেশালিটি সেন্টার। এ ছাড়া অনুষ্ঠানের সহযোগিতায় ছিল ১৮টি ক্লাব।
