কুসুম গরম পানি পানের উপকারিতা

0
181

অনেকেই শীত থেকে বাঁচতে হালকা গরম পানি পান করেন। এ অভ্যাস শরীরের জন্য ভালো না খারাপ তা হয়তো অনেকেরই অজানা। তাই আজ আপনাদের জানাব শীতে গরম পানি পান করার বিষয়টি বিশেষজ্ঞরা কীভাবে দেখছেন।
এ বিষয়ে ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশনে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা বলছে, শীত কিংবা গ্রীষ্মে গরম পানি খাওয়ার কোনো অপকারিতা নেই। বরং রয়েছে নানা উপকারিতা। তবে এর জন্য বেশি গরম পানি খাওয়া যাবে না। শুধুমাত্র ঈষদুষ্ণ পানিতেই শরীরে ক্ষতি না হয়ে মিলবে হাজারো উপকারিতা।

শিশু থেকে শুরু করে বয়স্ক এমনকি গর্ভাবস্থাতেও এ উপকারিতা পাওয়া যায়। ডায়েটেশিয়ানদের মতে, নিয়মিত ঈষদুষ্ণ পানি খাওয়ার অভ্যাসে মেটাবলিজম বাড়িয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে, কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দেয়, ব্লাড সার্কুলেশন বাড়ে, হজম শক্তি বাড়ে, বুকব্যথা এবং সর্দিকাশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। বন্ধ নাক খুলে যায়।

প্রাকৃতিক উপায়ে শরীর পরিষ্কার করে বিষাক্ত টক্সিন বের করতেও কাজে আসে হালকা গরম পানি খাওয়ার অভ্যাস। এতে ত্বক ভালো থাকে। ফলে ত্বকে বয়সের ছাপ কিংবা বলিরেখা সহজে পরতে পারে না।

যারা দুশ্চিন্তায় ভুগছেন, ঠিক সময়ে ঘুমাতে পারেন না কিংবা মুখে ব্রণের সমস্যা কোনোভাবেই সারছে না তারা নিয়মিত ঈষদুষ্ণ পানি খাওয়ার অভ্যাস করুন। এক মাসেই আপনার মধ্যে পরিবর্তন লক্ষ্য করতে পারবেন।

চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি কিংবা মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতেও দারুণ কাজে আসে ঈষদুষ্ণ পানি খাওয়ার অভ্যাস। তাই গরম আবহাওয়ার কারণে যারা এ অভ্যাস করতে পারেননি তারা এই শীতেই ঈষদুষ্ণ পানি খাওয়ার অভ্যাস শুরু করতে পারেন।