রান্নাঘর প্রতিটি বাড়ির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বাসার কোনো অংশ ব্যবহার হোক কিংবা না হোক রান্নাঘর ছাড়া একদিনও চলে না। আর যেহেতু এখানে আমাদের খাবার রান্না হয়ে থাকে, তাই এটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা জরুরি। কিন্তু রান্না করার পর অনেকেই ক্লান্ত হয়ে পড়েন এবং অপরিষ্কারই রেখে দেন। কিন্তু এটি মোটেই ঠিক নয়। কারণ ময়লা থেকে তৈরি হতে পারে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া এবং জীবাণু। চলুন জেনে নেওয়া যাক, রান্নাঘর পরিষ্কার রাখার সহজ কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি:
ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে পরিষ্কার করুন: রান্নাঘরে যা কিছু ব্যবহার করবেন সেগুলো সঙ্গে সঙ্গে পরিষ্কার করে নিন। যেকোনো থালাবাসন ব্যবহার করলে, এটি সঙ্গে সঙ্গে ধুয়ে নিন এবং ঠিক জায়গায় রেখে দিন।
আবর্জনা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলুন: আবর্জনা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে হবে। এর জন্য আপনি একটি নির্দিষ্ট পাত্র কিংবা ঝুড়ি ব্যবহার করতে পারেন। আবর্জনা যেখানে সেখানে ফেললে এটি রান্না ঘরের পরিবেশ নষ্ট করে এবং বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া কিংবা জীবাণুর সৃষ্টি করে। সেক্ষেত্রে শুকনো এবং ভেজা ময়লার জন্য আলাদা আলাদা ঝুড়ি ব্যবহার করতে পারেন।
প্যান্ট্রি ও ক্যাবিনেটগুলো সংগঠিত করুন: বিশৃঙ্খল ক্যাবিনেটগুলো সংগঠিত করে রাখুন। সবকিছু নিজ জায়গায় রাখতে শেল্ফ-লাইনার, ডিভাইডার এবং লেবেল ব্যবহার করুন। এভাবে রাখলে জিনিসপত্র খুঁজে পেতেও সুবিধা হয় পাশাপাশি রান্নাঘরের শৃঙ্খলা বজায় থাকে।
কিচেন চিমনি ব্যবহার করুন: রান্না করার সময় চিমনি ব্যবহার করলে আপনার চুলা, কাউন্টারটপ এবং দেয়াল তেল চিটচিটে হবেনা এবং রান্নার পরে রান্না ঘর পরিষ্কার করার সময়ও কম লাগবে।
নিয়মিত চুলা পরিষ্কার করুন: যেহেতু চুলায় রান্না হয় তাই অনেক সময় রান্না করার সময় বিভিন্ন জিনিস চুলায় পড়তে পারে। এগুলো নিয়মিত পরিষ্কার না করলে অপরিষ্কার হয়ে বিভিন্ন জীবাণু ও ব্যাকটেরিয়া সৃষ্টিতে সহায়তা করে। তাই এটি নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে।
সিঙ্ক পরিষ্কার রাখুন: প্রতিবার ব্যবহারের পরে সিঙ্কটি মুছে ফেলুন। তাহলে এটি দ্রুত ময়লা হবে না। এখানে পানি জমতে দেওয়া যাবে না। ব্যাকটেরিয়া এবং গন্ধ থেকে বাঁচতে সপ্তাহে একবার ভালোভাবে পরিষ্কার করুন।
ছোট-খাটো জিনিসগুলো সবসময় পরিষ্কার রাখুন: ব্লেন্ডার এবং টোস্টারের মতো ছোট-খাটো জিনিসগুলো প্রতিবার ব্যবহারের পরে পরিষ্কার রাখুন। চপিং-বোর্ড পরিষ্কার রাখতে ভুলবেন না। এটি শুধু স্বাস্থ্যের জন্যই ভালো তা নয়, আপনার জিনিসপত্র দীর্ঘদিন ভালো রাখতেও সহায়তা করে।