ঘুমানোর সময় হেডফোন ব্যবহারে কী হয়

0
51

মিউজিক শুনতে শুনতে ঘুমানোর অভ্যাস অনেকেরই আছে। এ অভ্যাস ভালো হলেও বিপত্তি ঘটে কানে হেডফোন বা ইয়ার ফোন লাগিয়ে মিউজিক শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়লে। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

চিকিৎসকরা বলছেন, হেডফোন বা ইয়ার ফোন সারা রাত কানের মধ্যে রেখে ঘুমোনোর জন্য নিরাপদ নয়। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, নিস্তব্ধ রাতে ইয়ারফোনের উচ্চ শব্দে শ্রবণশক্তির ভারসাম্য নষ্ট হয়। এতে করে কানের পর্দার স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে। এমনকি আপনি কানে শোনার ক্ষমতাও হারাতে পারেন বলে মনে করছেন তারা।

তাছাড়া দীর্ঘ সময় ধরে কানে হেডফোন বা ইয়ারফোন ব্যবহারে কানে বাতাস চলাচল হয় না বললেই চলে। এতে কানের ভেতরের পরিবেশ হয়ে ওঠে আর্দ্র। আর আর্দ্র পরিবেশে জীবাণু সংক্রমণের আশঙ্কা বেড়ে যায় অনেক বেশি।
জীবাণু সংক্রমণের পাশাপাশি ঝুঁকি বাড়ে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণেরও। এ কারণে আপনার কানে পানি জমা বা ইনফেকশনের মতো রোগ হতে পারে। দীর্ঘ সময় শব্দের চাপে কানের টিস্যুগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়, হ্রাস পেতে থাকে শ্রবণশক্তিও।

কানের সংক্রমণ আরও বেড়ে যায় যখন আপনি নিজের হেডফোন বা ইয়ারফোন ব্যবহার না করে অন্যেরটা ব্যবহার শুরু করেন। অন্যের জীবাণু বা ব্যাকটেরিয়া এতে দ্রুত শরীরে প্রবেশের সুযোগ পায়। তাই কানের সংক্রমণ এড়াতে অন্যের হেডফোন বা ইয়ারফোন ব্যবহার করার অভ্যাস থাকলে এখনই ত্যাগ করুন।

ইয়ারফোনের অতিরিক্ত শব্দ সরাসরি কানে যাওয়ার কারণে কর্ণকুহরে চাপ পড়ে, ফলে কানে ব্যথা হয়। এছাড়া, ইয়ারফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার ধীরে ধীরে বৃদ্ধি করতে পারে মাইগ্রেনের সমস্যাও।
তাছাড়া শুয়ে শুয়ে হেডফোন বা ইয়ার ফোন ব্যবহারে কান ও এর আশপাশেও ব্যথা বা যন্ত্রণার অনুভূতি হতে দেখা যায় অনেকেরই। যা রাতের ঘুমের মাঝপথে ব্যঘাত ঘটাতে যথেষ্ট। সকালে ঘুম থেকে উঠে মাথা ঘোরা, অস্থির অনুভূতি, কাজে একাগ্রতা ও মনোযোগের অভাবও দেখা দেয় রাতে ঘুমানোর সময় হেডফোন বা ইয়ার ফোন ব্যবহারে।
রাতে কানে ব্লুটুথ লাগিয়ে মিউজিক শোনার অভ্যাস থাকলে ব্লু টুথের রশ্মি শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে আরও বেশি। তাই দীর্ঘসময় ধরে এ যন্ত্র ব্যবহার করবেন না।

রাতে হেডফোন, ইয়ারফোন বা ব্লুটুথ কানে ব্যবহার করার সময় একপাশ ফিরে শোয়ার সময়ে অসাবধানে কোথাও চোটও পেতে পারেন। তাই শোবার সময় এসব যন্ত্র ব্যবহার না করে মৃদু আওয়াজে স্পিকারে মিউজিক শোনার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন।