শরীরের ভিতর বড় কিছু হলে ত্বকে সেটা ভেসে ওঠে। তাই ত্বকের পরিবর্তন হলে হেলাফেলা করা উচিত নয়। চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে আগেভাগেই। এমনকি হার্টের সমস্যা হলেও ত্বকে কিছু কিছু পরিবর্তন দেখা যায়।
মার্কিন এক চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের গবেষণায় উঠে এসেছে হার্ট কেমন আছে জানতে ত্বকের কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়-
১. ত্বকের রং যদি হলদে লাগে তবে বুঝতে হবে যকৃত সংক্রান্ত কোনো সমস্যা হচ্ছে। যেমন- জন্ডিস। আবার হাড়ের জোড়ের চামড়ার আশপাশে যদি ফুলে ওঠে তবে হতে পারে সেটা রিউমাটয়েড আর্থ্র্রাইটের লক্ষণ।
২. ত্বক বিবর্ণ হলে বুঝতে হবে কোনো সমস্যা হচ্ছে। এমনকি কোনো কোনো সময় গোলাপি কিংবা লালচে হতে পারে।
৩. হৃদস্বাস্থের অবস্থা বোঝার জন্য শুধু ত্বকের রংয়ের দিকেই নয় আকার আকৃতির দিকেও নজর রাখতে হবে। আর সেটা হল পা ফোলার সমস্যা। যাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় ‘এডিমা’। এটা হৃদরোগ হওয়ার প্রাথমিক লক্ষণ।
৪. হৃদস্বাস্থ্যের সমস্যা হলে, পা বা গোড়ালি ফুলতে থাকে।
৫. কোনো কাজ করতে গেলে বা শুয়ে থাকলে শ্বাস প্রশ্বাসে সমস্যা দেখা দেয়।
৬. তাছাড়া হাত বা পায়ের আঙ্গুলের নখের আশপাশ যদি উল্লেখযোগ্য মাত্রায় ফুলে ওঠে তবে সেটা হতে পারে হৃদযন্ত্র ও ফুসফুসের রোগের প্রাথমিক লক্ষণ।
৭. যদি চোখের পাপড়িতে হলদে বা কমলা রংয়ের মতো চামড়া বেড়ে ওঠে বা ত্বকের কোথাও মোমের মতো ফোলা দেখা দেয়, তবে সেটা হলো উচ্চ কোলেস্টেরল বা ডায়াবেটিসের লক্ষণ। উচ্চ কোলেস্টেরল ও ডায়াবেটিস হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
৮. নখ আসলে ত্বকের কোষ দিয়েই গঠিত হয়। আর ত্বকের মতো চুল এবং নখ দেহের বাইরের স্তর। শরীরের ভেতরের সমস্যা যেমন ত্বকে দেখা দেয় তেমনি নখেও ফুটে ওঠে। হৃদরোগ সম্পর্কিত নখের পরিবর্তনকে বলা হয় ‘স্প্লিন্টার হেমোরিজ’। এর ফলে নখে লম্বা লম্বা বেগুনি দাগ দেখা দেয়।