ডিপ্রেশন বা বিষণ্ণতা হলো সবচেয়ে সাধারণ ধরনের মানসিক স্বাস্থ্যগত একটি অবস্থা। এটি উদ্বেগের পাশাপাশি বিকাশ লাভ করে। ডিপ্রেশন স্বল্পস্থায়ী বা দীর্ঘস্থায়ী উভয়ই হতে পারে। তবে একটু সচেতন হলেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-এর দেয়া গাইডলাইন অনুযায়ী, দুঃখ, আগ্রহ বা আনন্দ হারিয়ে ফেলা, অপরাধবোধ, নিজেকে মূল্যহীন লাগা, ঘুম ও ক্ষুধায় বিরক্তি, ক্লান্তি, দুর্বল মনোযোগ ইত্যাদি বিষয়গুলো ডিপ্রেশন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
জেনে নিন ডিপ্রেশন থেকে মুক্তির উপায়গুলো-
১. ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পেতে বিভিন্ন ধরনের থেরাপি ও চিকিৎসার পাশাপাশি নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে। নিজের চেষ্টা না থাকলে এ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া প্রায় অসম্ভব। নিজের প্রতিদিনের কাজকর্ম, খাওয়া-দাওয়া, জীবনপ্রণালী এমনকি চিন্তা-ভাবনায়ও পরিবর্তন আনতে হবে।
২. এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে প্রতিদিন জীবনকে একটি রুটিনের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। প্রতিদিনের কাজকর্মকে যদি একটা নিয়মের মধ্যে বেঁধে ফেলা যায়, তবে তা ডিপ্রেশন কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবে।
৩. প্রতিদিন অল্পকিছু সময় ব্যায়াম করলে তা আপনার শরীর এবং মনকে সুস্থ রাখবে। ব্যায়াম করা মানে, ম্যারাথন দৌড় টাইপ কিছু না, আপনি যদি প্রতিদিন কিছু সময় হাঁটাহাঁটি করেন তবুও তা আপনার মস্তিষ্কে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। যা আপনাকে ডিপ্রেশন কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করবে।
৪. সুষম খাদ্য গ্রহণে ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি মেলে। লক্ষ রাখতে হবে যেন খাবারে প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ থাকে। সাইক্রিয়াটিস্টদের মতে, যেসব খাবারে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ফলিক অ্যাসিড থাকে সেসব খাবার ডিপ্রেশন কমাতে সহায়তা করে।
৫. পর্যাপ্ত ঘুম ডিপ্রেশন কমায়। ডিপ্রেশনের রোগীদের নিদ্রাহীনতা দেখা দেয়। তাই, প্রথমেই ঘুম সমস্যার সমাধান করতে হবে। প্রতিদিনের জীবনযাপনে কিছু পরিবর্তনের মাধ্যমে নিদ্রাহীনতা দূর করা সম্ভব।
৬. ডিপ্রেশনে ভুগতে থাকলে মানুষের মনে বিভিন্ন রকম নেগেটিভ চিন্তা ঘুরপাক খেতে থাকে। নেগেটিভ চিন্তাগুলোকে মন থেকে দূর করে পজিটিভলি চিন্তা করার চেষ্টা করতে হবে। যুক্তি দিয়ে সবকিছুর বিচার করতে হবে। আশাহত হওয়া যাবে না কোনোভাবেই।