পর্যাপ্ত ঘুম সুস্বাস্থ্যের অন্যতম চাবিকাঠি। প্রতিদিন নিরবচ্ছিন্ন আট ঘণ্টা ঘুম শুধু আমাদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করে না; বরং এটি সামগ্রিকভাবে প্রভাব ফেলে আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপে। কিন্তু প্রয়োজনীয় এই ঘুমে ব্যাঘাত দেখা দিলে আমাদের জীবনে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে, যা জীবনকে করে তোলে আরও দুর্বিষহ।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ঘুমের আগে আমরা এমন কিছু কাজ করি, যা আমাদের ঘুমের ব্যাঘাতের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। প্রতিদিনের এই ভুলগুলো এড়িয়ে যেতে পারলেই ঘুম হতে পারে নিষ্কণ্টক।
যেকোনো বয়সেই ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে। তাই ঘুম যেন বারবার না ভাঙে বা দেরিতে ঘুম এলে আপনি প্রথমেই যে কাজটি করতে পারেন তা হলো, ঘুমের জন্য নিস্তব্ধ একটি রুম বেছে নিন।
পাশাপাশি ঘুমের সময় সব বাতি নিভিয়ে রাখুন। আমরা অনেকেই রাতে ঘুমাতে মৃদু আলো ব্যবহার করে থাকি। অন্ধকারে ঘুমাতে সমস্যা হলে অনেকেই এ ধরনের বাতি ব্যবহার করে থাকেন, যা মোটেও ঠিক নয়। বারবার ঘুম ভাঙাতে না চাইলে বাতিহীন অবস্থায় ঘুমের অভ্যাস করে তুলুন।
নিরবচ্ছিন্ন ঘুমের জন্য ঘুমের আগে নেতিবাচক কোনো চিন্তা মনে ভিড় করতে দেবেন না। মন ভারাক্রান্ত বা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হলে তা ঘুমের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এ সমস্যার সম্মুখীন হলে ঘুমের আগে নিজের যত্ন করুন। রূপচর্চা করতে পারেন বা নিজেকে সময় দিতে নিজের শখের কাজগুলোয় এক ঘণ্টা দিতে পারেন। এতে আপনার মন অনেকটাই ভালো হয়ে যাবে। ভালো ঘুমের জন্য শুনতে পারেন পছন্দের কোনো গানও।
শরীর অসুস্থ থাকলেও রাতে ঘুম আসে না। অসুস্থতা এড়াতে এর জন্য রাতের খাবার খেয়ে ফেলুন ঘুমাতে যাওয়ার দুই ঘণ্টা আগেই। ভরপেট খেয়েই ঘুমিয়ে পড়লে শরীরের বিপাকে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে, যা ঘুমের ব্যাঘাত সৃষ্টি করতে পারে।
রাতে বারবার ঘুম ভাঙা এড়াতে ঘুমের আগে বৈদ্যুতিক যন্ত্র ব্যবহার করবেন না। ঘুমের আগে যতটা সম্ভব টিভি, মোবাইল, কম্পিউটার থেকে দূরে থাকুন। এ সময়টা বারান্দায় হাঁটাহাঁটি করতে পারেন। প্রকৃতির খুব কাছাকাছি হতে ছাদেও একটু সময় কাটাতে পারেন।
ঘুমকে গভীর করতে হালকা যোগাসন করতে পারেন। শ্বাসের ব্যায়াম বা ধ্যানও করতে পারেন। কিংবা পছন্দের বইও পড়ার অভ্যাস করুন ঘুমের আগে। আরামদায়ক পোশাক আর খোলা চুলে ঘুমাতে যাওয়ার অভ্যাসও আপনার ঘুমকে গভীর করে তুলতে পারে।