সরকারি ও বেসরকারি ডেন্টাল কলেজ এবং মেডিকেল কলেজের ডেন্টাল ইউনিটগুলোর বিডিএস কোর্সে (২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ) ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অনলাইনে আবেদনের শেষ সময় আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত। আবেদনের ফি জমাদানের শেষ তারিখ ৪ ফেব্রুয়ারি (রোববার) রাত ১১টা ৫৯ মিনিট। প্রবেশপত্র বিতরণ (ডাউনলোড পূর্বক রঙিন প্রিন্ট) ২৫ থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগেই অধিদপ্তর জানায়, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষা ৮ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল কর্তৃক প্রণীত মেডিকেল কলেজ এবং ডেন্টাল কলেজ/ইউনিটে এমবিবিএস এবং বিডিএস কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তি নীতিমালা-২০২৪ অনুযায়ী নির্ধারিত ছকে অনলাইনে (http://dgme.teletalk.com.bd) আবেদন করতে হবে। এবার পরীক্ষার ফি ধরা হয়েছে ১০০০ টাকা। যা টেলিটকের মাধ্যমে জমা দিতে হচ্ছে। আসন্ন ভর্তি পরীক্ষায় দ্বিতীয়বার অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীদের নম্বর কাটা হবে ৫ ও ১০ নম্বর।
নীতিমালায় আরও যা বলা হয়েছে
আবেদনকারীকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীকে ২০২৩ সালে এইচএসসি/‘এ’ লেভেল/সমমান ও ২০২১ সালে এসএসসি/‘ও’ লেভেল/সমমান অথবা ২০২২ সালে এইচএসসি/‘এ’ লেভেল/সমমান ও ২০২০ সালে এসএসসি/‘ও’ লেভেল/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। তবে শর্ত থাকে যে, শিক্ষার্থীকে এইচএসসি/‘এ’ লেভেল/সমমান পরীক্ষায় পাসের পূর্ববর্তী ২ (দুই) বছরের মধ্যে এসএসসি/ ‘ও’ লেভেল/ সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
যোগ্যতা
প্রার্থীকে নিয়মিত এসএসসি /‘ও’ লেভেল অথবা সমমান পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে উত্তীর্ণ হতে হবে এবং এইচএসসি /‘এ’ লেভেল অথবা সমমান পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগসহ অবশ্যই জীববিজ্ঞান, পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়ন থাকতে হবে। এসএসসি/ ‘ও’ লেভেল /সমমান এবং এইচএসসি/এ’ লেভেল/সমমান দুটি পরীক্ষায় জিপিএ কমপক্ষে ৯.০০ হতে হবে।
উপজাতীয় প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এসএসসি/ ‘ও’ লেভেল /সমমান এবং এইচএসসি ‘এ’ লেভেল/সমমান পরীক্ষায় মোট জিপিএ কমপক্ষে ৮.০০ হতে হবে। তবে এককভাবে কোনো পরীক্ষায় জিপিএ ৩.৫০ এর কম হলে আবেদনের যোগ্য বলে বিবেচিত হবে না। সবার জন্যে এইচএসসি/ ‘এ’ লেভেল/সমমান পরীক্ষায় জীববিজ্ঞানে (Biology) ন্যূনতম গ্রেড পয়েন্ট ৪.০ না থাকলে আবেদন বাতিল বলে গণ্য হবে।
১০০ (একশত) নম্বরের ১০০টি (একশত) এমসিকিউ প্রশ্নের ১ (এক) ঘণ্টার লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। লিখিত পরীক্ষায় বিষয় ভিত্তিক নম্বর বিন্যাস : জীববিজ্ঞান ৩০, রসায়নবিদ্যা ২৫, পদার্থবিদ্যা ২০, ইংরেজি ১৫, সাধারণ জ্ঞান (বাংলাদেশের ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধ) ১০। লিখিত পরীক্ষায় প্রতিটি ভুল উত্তর দেওয়ার জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা হবে। লিখিত পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের কম নম্বর প্রাপ্তরা অকৃতকার্য বলে গণ্য হবেন। ভর্তিযোগ্য পরীক্ষার্থীদের মেধাক্রমসহ ফল প্রকাশ করা হবে।
এসএসসি/’ও’ লেভেল/সমমান ও এইচএসসি/’এ’ লেভেল/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ মোট ২০০ নম্বর হিসেবে নির্ধারণ করে মূল্যায়ন করা হবে। এসএসসি/’ও’ লেভেল/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ এর ১৫ গুণ = ৭৫ নম্বর (সর্বোচ্চ)। এইচএসসি/’এ’ লেভেল/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ এর ২৫ গুণ = ১২৫ নম্বর (সর্বোচ্চ)। লিখিত ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর এবং অনুচ্ছেদ ০৭-এ বর্ণিত পদ্ধতিতে এসএসসি/’ও’ লেভেল/সমমান ও এইচএসসি/’এ’ লেভেল/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের যোগফলের ভিত্তিতে মেধাক্রম প্রণয়ন করা হবে।
পূর্ববর্তী বছরের এইচএসসি/’এ’ লেভেল/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের সর্বমোট (Aggregated) নম্বর থেকে ৫ (পাঁচ) নম্বর বাদ দিয়ে এবং পূর্ববর্তী বছরের সরকারি মেডিকেল কলেজ বা ডেন্টাল কলেজ/ইউনিট এ ভর্তিকৃত ছাত্র/ছাত্রীদের ক্ষেত্রে সর্বমোট নম্বর থেকে ১০ (দশ) নম্বর বাদ দিয়ে মেধা তালিকায় অবস্থান নির্ধারণ করা হবে।
আবেদন যেভাবে করবেন
অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ করার সময় নির্দেশাবলি www.dgme.gov.bd ও www.dghs.gov.bd ভালোভাবে পড়ে, বুঝে, নির্দেশনা অনুযায়ী সতর্কতার সঙ্গে পূরণ করতে হবে।