চিকিৎসক সংকটের কারণে উপজেলা হাসপাতালগুলোতে সাধারণ মানুষ যথাযথ চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে না জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারি (সন্তান প্রসব) অনেক কম। আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারি বাড়াতে হবে। এখনো বাসায় ৫০ শতাংশ ডেলিভারি হয়, যেখানে কোনো প্রশিক্ষিত কেউ থাকে না। এসব সংকট থেকে উত্তরণে নতুন করে শিগগিরই আরও ৬ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মহাখালীর নিপসম অডিটোরিয়ামে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ডেলিভারি বাড়াতে আমাদেরও কিছু করণীয় আছে। সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্র ৮ ঘণ্টা সার্ভিসে কখনোই চলতে পারে না। ইনস্টিটিউশনাল ডেলিভারি বাড়াতে হলে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মঘণ্টা ২৪ ঘণ্টা করতে হবে। কিছু সীমাবদ্ধতা থাকলেও সবমিলিয়ে স্বাস্থ্যসেবায় আমরা ভালো করছি। তবে আমি শুধু এটুকুই বলব যে, আমাদের হাসপাতালের সেবাটা যেন ভালো হয়। উপজেলা হাসপাতালগুলোতে স্বাস্থ্য সেবাটা আরও ভালো হওয়া প্রয়োজন। যদিও উপজেলা হাসপাতালে আমাদের চিকিৎসকের সংখ্যা কম, তবে নার্সের সংখ্যা এখন ভালো।
তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি নতুন কিছু ডাক্তার রিক্রুট করার জন্য। প্রায় ৬ হাজার নতুন ডাক্তার নিয়োগ দেওয়ার জন্য ইতোমধ্যে প্রপোজাল দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে কাজকর্ম চলছে। ডাক্তার নিয়োগ দেওয়ার পর যদি তারা উপজেলায় না থাকে, যদি স্বাস্থ্যসেবা না দেয়, তাহলে কিন্তু কোনো লাভ হবে না। মনে রাখতে হবে, ৫০০টি উপজেলায় কোটি কোটি মানুষ চিকিৎসা নিতে যায়। সেজন্য চিকিৎসক-নার্সদের সার্বক্ষণিক উপজেলায় অবস্থান করতে হবে এবং স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে। নয়তো যতই ভালো কাজ করেন, সুনাম কিন্তু আমরা পাব না।
জাহিদ মালেক বলেন, আমরা সবসময় ঢাকা শহরকেই গুরুত্ব দিয়ে থাকি, কিন্তু ঢাকা শহরই সব কিছু না। এখানে দুই-চারটা হাসপাতাল… কিন্তু উপজেলাগুলোতে ৫০০টি হাসপাতাল। এটা আমাদের সবাইকেই মনে রাখতে হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম ও অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবিরসহ অনেকে।