কেউ সকালে ব্যায়াম করেন কেউ সন্ধ্যায়। তবে ভোরে বিছানা থেকে উঠে শরীরচর্চা করতে গেলে যেন রাজ্যের আলসেমি চেপে বসে। ক্লান্ত শরীরে কর্মক্ষেত্র থেকে ফিরে সন্ধ্যায় ব্যায়াম করাটাও বেশ কষ্টকর মনে হয়। অথচ আমরা সবাই জানি সুস্থ থাকার জন্য নিয়মিত ব্যায়াম কতোটা জরুরি। কীভাবে ব্যায়ামের রুটিন ব্যাগে আনবেন? জেনে নিন টিপস।
১। নিজের ওপর অবাস্তব প্রত্যাশা রাখবেন না
জিমে যে সমস্ত ফিটনেস ফ্রিক দেখতে পাচ্ছেন, তারা সেখানে যাওয়ার জন্য বছরের পর বছর ধরে কঠোর প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। ভাববেন না যে তারা খুব অল্প সময়ের মধ্যেই এমন রুটিন আয়ত্ত করতে পেরেছে। ফলে রাতারাতি কঠোরভাবে ব্যায়াম করার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করে ফেলবেন এমন প্রত্যাশা রাখবেন না।
২। নিজেকে সময় বেঁধে দেওয়ার প্রয়োজন নেই
দ্রুত সময়ের মধ্যে শরীর থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ মেদ ঝরাতে হবে এমন চ্যালেঞ্জ নেবেন না। টাইমলাইন সম্পর্কে ভুলে ফিটনেসে আপনার যাত্রা উপভোগ করুন এবং আপনার শক্তি এবং দুর্বলতা আবিষ্কার করুন।
৩। ওয়ার্কআউট রুটিন
এমন একটি রুটিন খুঁজে বের করুন যা আপনার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত। কঠিন ওয়ার্কআউট করার চেয়ে নির্দিষ্ট সময়ে রিলাক্স মুডে ব্যায়াম করুন।
৪। প্রতিদিন কঠোর ব্যায়ামের প্রয়োজন নেই
আপনি যত বেশি সামঞ্জস্যপূর্ণ হবেন, তত বেশি অনুপ্রাণিত হবেন। সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ার জন্য আপনাকে প্রতিদিন ওয়ার্কআউট করতে হবে না। সপ্তাহে তিন বা চারদিন ব্যায়াম করেই থাকতে পারেন ফিট।
৫। বিশ্রামের সময়টুকু উপভোগ করুন
একবারে এত ব্যায়াম করবেন না যা আপনাকে ক্লান্ত করবে। ব্যায়াম কেবল আপনাকে শারীরিকভাবে ফিট করে তোলার জন্য নয়। এটি আত্মবিশ্বাস জোগাতেও সহায়ক।
সপ্তাহে কয়েকদিন বিশ্রাম নিন বা হালকা ব্যায়াম করুন। এই সময়ে বই পড়ুন বা শখের কাজ করুন। জীবনকে ঠিকঠাক উপভোগ করুন।
টিপস
প্রতিদিন জিমে গিয়েই ব্যায়াম করতে হবে এমন নয়। ভোরবেলা কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি আপনাকে প্রফুল্ল রাখবে।
সকালে ব্যায়াম না করলেও ভোরে ওঠার প্র্যাকটিস করুন। এটি সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করবে।
ব্যায়ামের রুটিন ঠিক রাখতে মনের জোরের বিকল্প নেই।