পেঁয়াজ কাটলেই কম-বেশি সবারই ঝাঁঝ চোখে গিয়ে পানি ঝরে। কিন্তু নানা খাবারের সঙ্গে পেঁয়াজ না হলে চলেই না। আর পেঁয়াজ ছাড়া বেশির ভাগ রান্নাই হয় না। কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছেন, কেন বার বার পেঁয়াজ কাটতে গেলেই চোখে জ্বালা করে?
পেঁয়াজে সালফেনিক অ্যাসিড উপাদান রয়েছে। কাটার পর সেগুলি বেরিয়ে অন্য এনজাইমের সঙ্গে মিশে যায়। তাতেই তৈরি হয় সালফার গ্যাস। সেটাই চোখে গিয়ে চোখ জ্বালা করে পানি ঝরে।
তবে রান্নার সময় এই এনজাইমগুলি কাজ করে না। তাই তখন আর চোখও জ্বালা করে না। পেঁয়াজ কাটার সময় এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়ার কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন-
১. চিউইং গাম চিবানো
পেঁয়াজ কাটার সময় চিউইং গাম চিবোতে থাকুন। দেখবেন চোখ থেকে পানি পড়ছে না। আসলে পেঁয়াজের ঝাঁজ চোখে গিয়ে এমন হয়। তবে মুখে চিউইং গাম থাকলে সেই ঝাঁজ চোখ পর্যন্ত পৌঁছতে পারে না।
২. পাউরুটি খেতে খেতে পেঁয়াজ কাটুন
বাড়িতে চিউইং গাম না থাকলেও অসুবিধা নেই। হাতের কাছে পাউরুটি থাকলে সেটাই মুখে পুরে দিন। পেঁয়াজ কাটতে কাটতে পাউরুটি খেতে থাকুন। এর ফলে শ্বাস-প্রশ্বাস সঠিক ভাবে নিতে পারলে ঝাঁজের কারণে নাক বন্ধ হয়ে যাবে না। চোখেও পানি আসবে না।
৩. পেঁয়াজ কিছুক্ষণ ফ্রিজে রাখুন
ফ্রিজে পেঁয়াজ রাখেন না অনেকেই। তবে পেঁয়াজ কাটার সময় ‘কাঁদতে’ না চাইলে ফ্রিজে রাখতে পারেন কিছুক্ষণ। কাটার আগে পেঁয়াজ ফ্রিজে রেখে দিন। যত বেশি সময় রাখবেন, তত ভাল। তাহলে আর চোখ থেকে পানি পড়বে না।
৪. বরফ পানিতে ভিজিয়ে নিন
ফ্রিজে যদি পেঁয়াজ নাও রাখেন, তাহলে বরফ পানিতে পেঁয়াজগুলি ভিজিয়ে রাখুন। তবে পেঁয়াজের খোসা ছাড়িয়ে তারপর পানিতে ভিজিয়ে রাখবেন। এতে চোখ থেকে পানি পড়া তো দূর, পেঁয়াজের ঝাঁজ নাকে যাবে না।
৫. মোমবাতি জ্বালিয়ে রাখুন
পেঁয়াজ কাটার সময়ে একটি মোমবাতি জ্বালিয়ে রাখতে পারেন কাছে। এতে পেঁয়াজ থেকে নির্গত এনজাইমের ঝাঁজ আপনার চোখের পানির সঙ্গে বিক্রিয়া করার আগেই আগুনের শিখা তাকে আকর্ষণ করবে।
৬. ধারালো ছুরির ব্যবহার
খুব ধারালো ছুরি দিয়ে পেঁয়াজ কাটতে পারেন। অবাক লাগলেও এই পদ্ধতি কাজ করে। পেঁয়াজের কোষে কম ক্ষতি করে ধারালো ছুরি। তাই খুব বেশি এনজাইম বার হয় না। পেঁয়াজের মুখে না কি সবচেয়ে বেশি এনজাইম থাকে। তাই প্রথমেই সেগুলি কেটে বাদ দিয়ে দিন।