খালি পেটে ডায়াবেটিস কমবে এই পাতা খেলে

0
163

ডায়াবেটিস এখন প্রতিঘরের রোগ। তবে এটি অবহেলা করেছেন তো বিপদ হাতের মুঠোই ধরা দেবে চোখের পলকে। কারণ ডায়াবেটিস অন্যান্য রোগের সঙ্গে খাতির জমিয়ে ফেলে তড়িঘড়ি করেই। তাই আপনি ডায়াবেটিসকে একেবারেই অবহেলা করবেন না। সকাল থেকেই শুরু করুন এর পেছনে লড়তে। খালি পেটে কিছু উপায় অনুসরণ করলে আপনি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন।

ডায়াবেটিস অন্যান্য রোগকে সাধুবাদ জানায়। এটি হার্ট, কিডনি, চোখ, ফুসফুস ইত্যাদির ক্ষতি করে দেয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, বিশ্বে প্রায় ৪২২ মিলিয়ন মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। এর মধ্যে প্রতি বছর দেড় মিলিয়ন মানুষ মারা যায়।
আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েবসাইট এনসিবিআই-এর একটি গবেষণায় দাবি করা হয়েছে যে প্রায় ৮০০ গাছ এবং গাছপালা রয়েছে যেগুলোতে অ্যান্টি-ডায়াবেটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। গবেষণায় আরও দাবি করা হয়, কস্টাস ইগনিয়াস, ভৃঙ্গরাজ এবং ইউক্যালিপটাসের পাতা চিবিয়ে খেলে ইনসুলিনের উৎপাদন বাড়িয়ে রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

১. ভৃঙ্গরাজ পাতা: এনসিবিআই-এর গবেষণায় জানা গেছে, ভৃঙ্গরাজ পাতায় অ্যান্টি-ডায়াবেটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ভৃগুরাজের হাইপোগ্লাইসেমিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। অর্থাৎ এটি রক্তে শর্করা কমানোর ক্ষমতা রাখে। সকালে খালি পেটে ভৃঙ্গরাজ পাতা খেলে সারাদিন ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং স্বাভাবিকভাবেই ইনসুলিনের উৎপাদন বৃদ্ধি পায়।

২. কস্টাস ইগনিয়াস: কস্টাস ইগনিয়াস বা ইনসুলিন প্ল্যান্টও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে অগ্রনী ভূমিকা পালন করে। এতে বেশি পরিমানে অ্যান্টি-ডায়াবেটিক বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়। তাই এর নাম ইনসুলিন প্ল্যান্টও বলা হয়। আমেরিকান সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড ইনফরমেশনের এক গবেষণায় দেখা গেছে, কস্টাস ইগনিয়াসের পাতা চিবিয়ে খেলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা অনেক কমে যায়। আর খালি পেটে এই পাতা খেলে দারুণ কাজ করে। গবেষণায় দেখা গেছে, কিছু ইঁদুরকে ডেক্সামেথাসোন দিয়ে ব্লাড সুগারের মাত্রা বাড়ানো হয়েছে। এরপর কস্টাস ইগনিয়াস দেয়া হলে হঠাৎ রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যায়। এ কারণেই কস্টাস আগ্নেয় পাতা দিয়ে তৈরি ট্যাবলেটও পাওয়া যায়।

৩. ইউক্যালিপটাস: ইউক্যালিপটাস নিয়ে পরিবেশগত বিভ্রান্তি থাকলেও এটি ডায়াবেটিসের জন্য দারুণ কাজ করে। অস্ট্রেলিয়া, ইরান, আমেরিকা, আফ্রিকাতে এই গাছ বেশি দেখা যায়। এটিও ইঁদুরের ওপর একই রকম গবেষণায় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের কার্যকরী ভূমিকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। ইউক্যালিপটাসের তেল এবং পাতা ঔষধি উদ্দেশ্যেই ব্যবহৃত হয়। ইউক্যালিপটাস তেল বিভিন্ন ধরনের ক্রিম, সাবান এবং টুথপেস্টে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়।